Behind the Myth of 3 million
Many myths have been formed around the creation of Bangladesh. Among them is the fiction that the defeated Pakistan Army savagely killed three million people and raped three hundred thousand women during their less than nine months unsuccessful fight to preserve the integrity of a united Pakistan. Recalling this ”heinous” Pakistani crime with suave moral indignation was made into a national ritual. Not only the beaten Pakistan Army but also the subverted Pakistan came to be portrayed as inherently evil and her dismemberment a triumph of civilized values over barbarism. No less a figure than the ”Father of the Nation” was made to consecrate the lore. With his stamp of authority behind it, his grateful children were implicitly compelled into faithfully repeating it.
Blood and Tears
170 eyewitness accounts of the atrocities committed by Awami League militants and other rebels on West Pakistanis, Biharis and other non-Bengalis and pro-Pakistan Bengalis in 55 towns of East Pakistan in March-April 1971. For the first time, the pathetic, grisly and untold story of the massacre of more than half a million non-Bengalis and pro-Pakistan Bengalis by the Awami League-led insurgents in East Pakistan (breakaway Bangladesh) in March-April, 1971, is bared in “BLOOD AND TEARS”.
বাংলাদেশঃ মারাত্মক অপপ্রচারণা, ষড়যন্ত্র ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের শিকার
পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার যে প্রক্রিয়া ১৯৭১ সনে পূর্ণতা লাভ করে তার স্থপতি-কারিগর হচ্ছে ভারত। নতুন রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের জন্ম লাভের পরপরই ভারতীয় সংবাদপত্র এই মর্মে এক বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা শুরু করে যে পূর্ব পাকিস্তান হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তানের ‘কলোনী’ এবং উক্ত প্রচারণায় এটাও বলা হয় যে, পূর্ব পাকিস্তানকে কেবল নিষ্ঠুর রাজনৈতিক শোষণই নয়, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিকভাবেও শোষণ করা হচ্ছে। ঐ বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণাকে আরো ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বলার জন্যে সেই সময়কার পূর্ব পাকিস্তানের একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবিরূপী ভারতীয় চর অতি উৎসাহের সাথে উঠে পড়ে লাগে এবং সে কাজে তারা বছরের পর বছর থেকে লেগে থাকে।
আমি আলবদর বলছি
আমি আলবদর ছিলাম। একাত্তরের সিদ্ধান্ত আমার নিজস্ব। আমার বিবেকের সাথে পরামর্শ করে এ সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছিলাম। কোন দল কোন গোষ্ঠী অথবা কোন ব্যক্তি এ সিদ্ধান্ত আমার ওপর চাপিয়ে দেয়নি। আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়ে অথবা কোন কিছুতে প্রলুব্ধ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম একথা সত্য নয়। বন্দুকের নলের মুখে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি তাও নয়। ২শ’ বছরের গোলামীর ইতিহাস, সমসাময়িক হিন্দু চক্রান্ত, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অতীত কার্যকলাপ, তথাকথিত সমাজতন্ত্রীদের দুরভিসন্ধি সব মিলে ২৫শে মার্চের পর আমার বিবেকে একটা ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। আমার তারুণ্যকে পরিস্থিতির সুলভ শিকারে পরিণত হতে মন সায় দেয়নি। বার বার মনকে প্রশ্ন করেছি: এদেশে ইট কাঠ দালানগুলো ও অন্যান্য জড় পদার্থের মত আমি নীরব দর্শক হয়ে বোবার মত দাঁড়িয়ে থাকব? এই আত্মঘাতী ষড়যন্ত্রের শেষ কোথায়? যে হিন্দুস্তান তার নিজের দেশে হাজার হাজার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সৃষ্টি করে মুসলমানদের নিধন করছে, সেই ভারত কী স্বার্থে পূর্ব-পাকিস্তানের আট কোটি মুসলমানদের জন্য দরদে উচ্ছসিত হয়ে উঠল?
একাত্তরের স্মৃতি
আমার এই স্মৃতিকথা সাহিত্য সংস্কৃতি জনকল্যাণ সংস্থা সেবা’র চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেইনের অনুরোধে, তাগিদে এবং অনূপ্রেরণায় লিখতে শুরু করি। কেনো এ স্মৃতিচারণা করতে রাজী হয়েছি সে কথা একটু বলা দরকার। ৭১ এর পর আমরা যারা বিচ্ছিন্নতাবাদের সমর্থন করিনি তারা কলাবোরেটর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলাম। আমি ৭১ এর ডিসেম্বর থেকে ৭৩ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলে ছিলাম এবং তখন থেকে পাকিস্তান আন্দোলন ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের ইতিহাস সম্বন্ধে এমনসব কথা শুনেছি যা শুধু উদ্ভটই নয়, সম্পূর্ণ কাল্পনিক। আমাদের কথা বলার সুযোগই ছিল না। আমরা যে, একটা আদর্শে বিশ্বাস করতাম সে স্বীকৃতি পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে উত্থিত অভিযোগের মধ্যে ছিল না।
The Wastes of Time
...these memoirs were written in 1973 in the Dhaka Central Jail where I was being held as a ‘collaborator’ for not supporting Sheikh Mujibur Rahman in his campaign against Pakistan... The mood that dominated me in prison was one of outrage, anger, frustration, and hopelessness. Physically disabled by an abortive attempt to assassinate me, tortured by the feeling that all I had believed in had crashed in ruins around me, and that we had suffered a defeat from which it would be impossible to recover in the foreseeable future, convinced that the change of 1971 could bode no good to my people, oppressed by the thought that could see no ray of hope, I sat down to record my reflections on the whole series of events which had culminated in the disaster of December 1971.
একাত্তরের আত্মঘাতের ইতিহাস
মানব হিসাবে প্রত্যেকের কিছু দায়-দায়িত্ব থাকে। মুসলমান হিসাবে কিছু বাড়তি দায়িত্বও থাকে। আর সে বাড়তি দায়িত্বটা হল সত্যের পক্ষে সাক্ষী দেওয়া। ইসলামে এটিকে বলে শাহাদতে হক তথা সত্যের পক্ষে সাক্ষ্যদান। ...সত্যের পক্ষে সাক্ষী দিতে হয় সর্বসাধারণের বিবেকের আদালতেও। সে কাজটি করে লেখনী। এজন্যই লেখকের কলমের কালিকে শহিদের রক্তের চেয়ে পবিত্র বলা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে সে কাজটি যথার্থ ভাবে হয়নি। ফলে সত্য ও ন্যায়নীতি পরাজিত দেশটির সর্বত্র। ইসলামের পক্ষের শক্তি আজ পরাজিত শক্তি। এবং দুর্বৃত্তি ছেয়ে গেছে শুধু প্রশাসনে, রাজনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে নয়, বুদ্ধিবৃত্তিতেও। যে সমাজে নামায রোযা আছে অথচ রাজনীতি ও বুদ্ধিবৃত্তিতে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষ নেওয়ার লোকের অভাব সে সমাজে সুবিচার, সুনীতি ও শান্তি আসে না। তখন সুস্থ্য সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মিত হয় না। সে দেশে অতিশয় দুর্বৃত্তরাও তখন নেতা হয়, এমপি হয় এবং মন্ত্রীও হয়। মিথ্যাজীবীরা তখন বুদ্ধিজীবী রূপে গন্য হয়। দেশ তখন দূর্নীতিতে বার বার বিশ্ব রেকর্ড গড়ে। আর বাংলাদেশ তো তেমনই এক দেশ।
ফেলে আসা দিনগুলো
..আসলে এসব তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধারা কখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। তারা চেয়েছিল ভারতীয় অধিপত্য। পাকিস্তানকে ভাঙ্গার জন্য তারা স্বাধীনতার দোহাই পেড়েছিল মাত্র। ...ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের ফসল ছিল পাকিস্তান। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ ও হিন্দু ব্রাহ্মণ্যবাদ জোটবদ্ধভাবে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিল। কিন্তু মুসলমানদের ইস্পাত কঠিন ঐক্যের কারণেই ইঙ্গ-হিন্দু চক্রান্ত সফল হতে পারেনি। তারা জানত মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক বিবাদ উসকে দিয়েই তাদের উদ্দেশ্য কেবল সফল করা সম্ভব। ১৯৭১ সালে সেই ঘটনাই ঘটেছিল। শেখ মুজিব ও জুলফিকার আলী ভুট্টোর ক্ষমতার লড়াইকে শত্রুরা কাজে লাগিয়েছিল পাকিস্তানকে ভাঙ্গার মোক্ষম সুযোগ হিসেবে।
রাজাকারের চেতনা বনাম মু্ক্তিযোদ্ধার চেতনা
বাংলাদেশের ইতিহাসের বহু আলোচিত প্রসঙ্গ হল রাজাকার ও মু্ক্তিযোদ্ধার বিষয়। দু'টি প্রসঙ্গই ছড়িয়ে আছে দেশের ইতিহাস, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, রাজনীতিকের বক্তৃতা-বিবৃতিতে ও পত্রিকার পাতায়। তাতে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে প্রচুর প্রশংসা হলেও রাজাকারদের নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা হয়নি। যা হয়েছে তা নিছক পক্ষপাতদুষ্ট গালিগালাজ। গালিগালাজ কোন দেশেই ভদ্রতার পরিচায়ক নয়, এতে কুৎসিত চরিত্রের পরিচয় মেলে তার যে ব্যক্তি এমন গালিগালাজকে রাজনীতি রূপে গ্রহণ করে। এমন গালিগালাজে রাজাকারদের আসল পরিচয়টি জানা অসম্ভব। অথচ আগামী প্রজন্মের কাছে সে প্রসঙ্গটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। এটি হল আজকের জ্ঞানীদের দায়বদ্ধতা। কিন্তু সে দায়বদ্ধতা আদৌ পালিত হয়নি। কারা এ রাজাকার? কি ছিল তাদের মিশন? কেন তারা বাঙ্গালী হয়েও বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠায় বিরোধীতা করলো এবং রক্ত দিল? কি ছিল তাদের রাজনৈতিক দর্শন? কিসে তারা অনুপ্রাণিত হল? এ প্রশ্নগুলি শুধু আজকে নয়, শত শত বছর পরও বাংলাদেশের ইতিহাসের পাঠকের মনকে আন্দোলিত করবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে গালিগালাজ ছাড়া তাদের নিয়ে বিশেষ কিছুর উল্লেখ নেই। ফলে সে প্রশ্নের উত্তরলাভে কোন পথই খোলা রাখা হয়নি।
দুই পলাশী দুই মীরজাফর
...আমার অনুভব দিয়ে পলাশীর বিপর্যয় ও একাত্তরের তথাকথিত বিজয়ের মধ্যে যে আক্ষরিক সাদৃশ্য লক্ষ্য করেছি সেটারই চিত্রায়ন করব এই গ্রন্থে। আমার হৃদয়ের প্রতিধ্বনি কারো অন্তরে বাজুক অথবা না-ই-বাজুক, ইতিহাসের গভীরে হারিয়ে যাওয়া অনাবিষ্কৃত সত্যগুলো টেনে তুলে মুক্তোর দানার মত যদি আমি দৃশ্যমান করে তুলি তাহলে সে সবের পুনর্মূল্যায়ণ আপত্তিকর বলে মনে করা সঙ্গত হবে কি? হবে না। অধিকাংশ মানুষ আমার সাথে সহমত পোষণ করলেও আমি জানি আমাদের একটা বিরাট অংশ ঝড় তুলবেন চায়ের আড্ডা থেকে পত্রিকার দপ্তর পর্যন্ত। এদের যারা সচেতনভাবে দালাল ক্রীড়নক হিসেবে জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেয়ার জন্য এবং সাম্রাজ্যবাদী লক্ষ্য অর্জনের জন্য এখনো সক্রিয় তাদের সোচ্চার দাপটে আমার অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমি সঠিক চিত্র উপস্থাপনের ব্যাপারে কুণ্ঠিত হব না। গুটি কতক ঔপনিবেশিক দালালদের ঔদ্ধত্যের সম্মুখে সহমত পোষণকারী আমার সংখ্যাগরিষ্ট দেশবাসী নির্বাক হয়ে নীরবে অশ্রু বিসর্জন করবেন হয়তো। ঔপনিবেশিক চক্রের সৃষ্ট রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আবহ এখনো বিদ্যমান। আমি জানি এই বিদ্যমান পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা কোন মহল থেকে প্রতিবাদ অথবা প্রতিরোধের ব্যাপারে একটি শব্দও উচ্চারিত হবে না। তবু অনাগত ভবিষ্যতের সত্যাগ্রহী চেতনাকে শাণিত করার জন্য রহস্য উদঘাটনের এমন একটি নয় অসংখ্য উদ্যোগ জরুরী। তা না হলে আধিপত্যবাদী ব্রাহ্মণ্য চক্র সৃষ্ট ধুয়াশায় নিমজ্জিত রয়ে যাবে আগামী প্রজন্ম এবং এ ভূখণ্ডে আগামী অনন্তকাল ধরে অব্যাহত থাকবে আত্মঘাতী ষড়যন্ত্র।