একাত্তর নিয়ে কেন এ লেখা
(বইটির pdf version download করুন এখানে)
মানব হিসাবে প্রত্যেকের কিছু দায়-দায়িত্ব থাকে। মুসলমান হিসাবে কিছু বাড়তি দায়িত্বও থাকে। আর সে বাড়তি দায়িত্বটা হল সত্যের পক্ষে সাক্ষী দেওয়া। ইসলামে এটিকে বলে শাহাদতে হক তথা সত্যের পক্ষে সাক্ষ্যদান। মুসলমান হওয়ার জন্য কালামে শাহাদত জনসম্মুখে পাঠ করতে হয়। লা-শরীক আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সত্য – কালেমায়ে শাহাদত পাঠের মধ্য দিয়ে সে সাক্ষীটিই প্রবল ভাবে দিতে হয়। তবে সে দায়িত্ব এখানেই শেষ হয় না, শুরু হয় মাত্র। সত্যের পক্ষে এরূপ প্রকাশ্য সাক্ষ্যদানের পর, প্রতিটি মুসলমানের জীবনে সেটিই তার আমৃর্ত্যু জীবন-সংস্কৃতিতে পরিণত হয়। ফলে জীবনের আশে পাশে যে সত্যঘটনা ঘটে তাকে সেগুলিরও পক্ষ নিতে হয়। সত্যকে বিজয়ী করতে সে শুধু মসজিদে, জনপদে বা জিহাদের ময়দানেই যায় না, আদালতেও যায়। সত্যের পক্ষে সাক্ষী দিতে হয় সর্বসাধারণের বিবেকের আদালতেও। সে কাজটি করে লেখনী। এজন্যই লেখকের কলমের কালিকে শহিদের রক্তের চেয়ে পবিত্র বলা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে সে কাজটি যথার্থ ভাবে হয়নি। ফলে সত্য ও ন্যায়নীতি পরাজিত দেশটির সর্বত্র। ইসলামের পক্ষের শক্তি আজ পরাজিত শক্তি। এবং দুর্বৃত্তি ছেয়ে গেছে শুধু প্রশাসনে, রাজনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে নয়, বুদ্ধিবৃত্তিতেও। যে সমাজে নামায রোযা আছে অথচ রাজনীতি ও বুদ্ধিবৃত্তিতে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষ নেওয়ার লোকের অভাব সে সমাজে সুবিচার, সুনীতি ও শান্তি আসে না। তখন সুস্থ্য সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মিত হয় না। সে দেশে অতিশয় দুর্বৃত্তরাও তখন নেতা হয়, এমপি হয় এবং মন্ত্রীও হয়। মিথ্যাজীবীরা তখন বুদ্ধিজীবী রূপে গন্য হয়। দেশ তখন দূর্নীতিতে বার বার বিশ্ব রেকর্ড গড়ে। আর বাংলাদেশ তো তেমনই এক দেশ।
জীবনের প্রতি পদে প্রতিটি ব্যক্তিকেই কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাকে রায়ও দিতে হয়। সেটি কখনও পরিবারে, কখনও সমাজে, আবার কখনও বা রাষ্ট্রের রাজনীতি ও প্রশাসনে। রাজনীতির ক্ষেত্রে সে রায়ের গুরুত্ব আরো অধিক। কে কত দীর্ঘকাল বাঁচলো সেটাই বড় কথা নয়, কতটা সত্য পথে থাকলো এবং কীরূপে দায়িত্বপালন করল সেটিই বড় কথা। যে সমাজে সঠিক দায়িত্বপালনকারির অভাব সে সমাজ ব্যর্থতায় রেকর্ড গড়ে। রায় প্রদানে বিচারকের অভিজ্ঞতা ও বিবেক-বুদ্ধিই যথেষ্ট নয়, অতি অপরিহায্য ছিল সত্য ঘটনার পক্ষে বিচারকের সে আদালতে সত্যের পক্ষে সাক্ষ্যদানের বিষয়টিও। নইলে ব্যর্থ হয় ন্যয় বিচার। তখন নিরেট অপরাধীরাও নির্দোষ রূপে মূক্তি পায়।ঠিক একই কারণে জনগণও নিছক নিজ বিবেক-বুদ্ধির উপর ভরসা করে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সঠিক রায় দিতে পারে না। সে কাজে ঘটনার পক্ষে সত্য সাক্ষী চাই। সে সাক্ষী পেশ করে ইতিহাসের লেখকেরা। বাংলাদেশে সে কাজটি সঠিক ভাবে হয়নি। রাজনীতি ও প্রশাসনের ন্যায় প্রচন্ড দূর্নীতি ঢুকেছে এ ক্ষেত্রটিতেও। ইতিহাস রচনার ময়দানটি যাদের দখলে তারা চালিয়েছে প্রচন্ড মিথ্যাচার। পরিকল্পিত ভাবে রচনা করেছে বিকৃত ইতিহাস। আর সেটি ঘটেছে একাত্তরকে নিয়ে। ফলে জনগণ ব্যর্থ হচ্ছে ঘটনার বিচারে সঠিক সাক্ষী পেতে। ফলে প্রচন্ড ব্যর্থতা ফুটে উঠছে জনগণের রায়দানেও। এ রায়ে দুবৃর্ত্ত স্বৈরাচারি, গণতন্ত্রের হত্যাকারি, এবং একদলীয় শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ও বাকস্বাধীনতার হরনকারীরা শুধু নিরপরাধ রূপেই নয়, নির্বাচন যোগ্যও বিবেচ্য হচ্ছে। বাংলাদেশে ইতিহাসের মূল্যায়ানে কতটা গভীর ভাবে বুদ্ধিবৃত্তিক দূর্নীতি ঘটেছে একাত্তরকে নিয়ে এটি হল তার অকাঠ্য প্রমাণ।
যে কোন জাতির জীবনে সংঘাত আসে। যুদ্ধও আসে। একাত্তরে তেমন একটি যুদ্ধ এসেছিল বাংলাদেশেও। স্বভাবতাই সে যুদ্ধ বা সংঘাতে দুটি পক্ষ ছিল। সভ্য দেশে বিজয়ীরা পরাজিতদের জন্যও কিছু জায়গা ছেড়ে দেয়। যেমন আদালতে বিবাদী বা আসামীকেও আত্মপক্ষ সমর্থণে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে তাদের জন্য কোন জায়গাই রাখা হয়নি। তাদের প্রতি বরং নিক্ষিপ্ত হয়েছে নিছক গালি-গালাজ। হরন করা হয়েছে তাদের বাক স্বাধীনতা। বাংলাদেশের সেকুলারদের রচিত ইতিহাসের বই তাই পরিণত হয়েছে নিছক গালিগালাজের উপাখ্যানে। এমন ইতিহাস কি বিবেকমান মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পায়? ইতিহাসের এমন গ্রন্থ তো আস্তাকুড়ের আবর্জনা হয়। আল্লাহতায়ালা লেখককে এ জীবনে বহু কিছুই কাছে থেকে দেখবার সুযোগ দিয়েছেন। অনেক নেতাকে যেমন দেখার সুযোগ হয়েছে তেমনি সুযোগ মিলেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সরাসরি জানার। সুয়োগ মিলেছে দীর্ঘ কয়েক দশ ধরে মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা প্রত্যক্ষ অবলোকনের। ফলে দায়ভারও বেড়েছে। কারণ দুর্বৃত্তি, সন্ত্রাস, মিথ্যাচার ও ধোকাবাজির ঘটনা সবার পক্ষে স্বচোক্ষে দেখার সুযোগ হয় না। কিন্তু যারা দেখেন তাদের দায়িত্বও বেড়ে যায়। তখন শুরু হয় ঈমানের পরীক্ষা। কারণ সাক্ষী গোপন করাও তো মহাপাপ। তায় দায়ভার নিতে হয় আদালতে সত্য সাক্ষী পেশ করার। আর সেটি জনগণের আদালতে। শুধু বর্তমান প্রজন্মের জন্যই নয়, আগামী প্রজন্মের জন্যও। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সে দায়িত্ব আরো বেশী। জনগণের আদালতে যারা লাগাতর সাক্ষ্য দিয়ে যাচ্ছে তারা হলো ইসলাম বিরোধী শক্তি। ইসলোমকে পরাজিত দেখার মধ্যেই তাদের আনন্দ। বাংলাদেশে ইসলামের বিজয় রুখতে তারা অস্ত্র হিসাবে বেছে নিয়েছে একাত্তরে ইসলামপন্থিদের ভূমিকা। আসামীর কাঠগড়াতে খাড়া করছে ইসলামের পক্ষের শক্তিকে। এ কাজে তাদের প্রচন্ড আগ্রহ এ কারণে যে, দেশে প্রবল ভাবে বিজয়ী সেকুলার জাতীয়তাবাদী দর্শন। এ দর্শনে ইসলামপন্থিদের ঘাযেল করা খুবই সহজ। প্রতিটি বিচার কাজে আদলতে যেটি নীরবে কাজ করে সেটি বিচারকের বিশেষ জীবন-দর্শন বা চিন্তার মডেল। বিচারকের দর্শন বা চিন্তার মডেল পাল্টে গেলে তাই বিচারও পাল্টে যায়। ঘটনার বিচার বিশ্লেষণে একই রূপ ঘটনা ঘটে জনগণের চিন্তারাজ্যেও। চিন্তা-চেতনার সেকুলার মডেল আর ইসলামি মডেল এক নয়, পার্থক্য বিশাল। এরূপ দুই ভিন্ন চিন্তার এ দুই ভিন্ন মডেলে বিচারও তাই একই রূপ হয় না। চেতনার সেকুলার মডেলে নিরেট ব্যভিচারও চিত্রিত হয় মহাপ্রেম রূপে। বাংলাদেশের কাফের আইনে এটি কোন অপরাধই নয়। ফলে দেশটিতে পতিতাবৃত্তি সরকার অনুমোদিত একটি বৈধ পেশা। উপনিবেশিক কাফের শাসনামলে এ পাপ যে ভাবে প্রতিষ্ঠা ও পরিচর্যা পেয়েছে এখনও সেটি পাচ্ছে। অথচ আল্লাহর আইনে এটি পাথর মেরে হত্যাযোগ্য অপরাধ। তেমনি সূদ খাওয়ার নাম হারাম কাজটিও সেকুলার চিন্তা-চেতনায় কোন পাপ নয়, নিষিদ্ধও নয়। অথচ ইসলামের এটি মায়ের সাথে জ্বিনার চেয়েও জঘন্য বলা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের সেকুলারদের কাছে এ মহাপাপটি আইনসিদ্ধ ও নীতিসিদ্ধ গণ্য হচ্ছে। মানুষে মানুষে বিচারে যে প্রচন্ড পার্থক্য তা তো জীবন দর্শনে এরূপ ভিন্নতার কারণেই। দর্শনে ভিন্নতার কারণে বিষধর সাপ যেমন দেবীর আসন পায়, তেমনি ঘৃণ্য অপরাধীরাও বীরের মর্যাদা পায়।
এমন একটি সেকুলার মডেলে বিচার হয়েছে একাত্তর নিয়েও। সেকুলারিজম, জাতিয়তাবাদ, সমাজবাদ ও হিন্দুধর্মে একাত্তরে পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়াটি ছিল মহা-অপরাধ। এসব মতের অনুসারিগণ মহাকর্ম মনে করেছে পাকিস্তান ভাঙ্গাকে। কিন্তু এটি কি অপরাধ গণ্য হতে পারে ইসলামি মানদন্ডেও? বাংলাদেশের নব্বই ভাগ মানুষ মুসলমান, অথচ একাত্তরের বিচারে ইসলামি দর্শনের সে প্রয়োগই হয়নি। এ অবধি একাত্তরের উপর যত বিশ্লেষণ হয়েছে ও যত বই লেখা হয়েছে তার সিংহ-ভাগ হয়েছে জাতিয়তাবাদী সেকুলার চেতনায়। অথচ ইসলাম ১৪ শত বছর পূর্বেই এমন চেতনাকে কবরে পাঠিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে আগাছার ন্যায় এ চেতনাই প্রবল ভাবে বেড়েছে। ফলে বুদ্ধিবৃত্তির ময়দানে সোচ্চার শুধু এক পক্ষই। এবং সেটি ইসলামের বিপক্ষ শক্তি। পাঠ্য বইয়ে ইসলামি বিচারে একাত্তর নিয়ে কোন আলোচনাই নাই। পেশী শক্তির বলে সেটি এ যাবত বন্ধ রেখেছে। বাংলাদেশ একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সন্ত্রাসের দেশে সেই একাত্তর থেকেই। ফলে নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে সীমাহীন ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে। ইসলামের পক্ষের শক্তিও এ নিয়ে মুখ খুলছেন না। ভাবছেন, অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি না করাই ভাল। সেকুলারিজমের প্রবল স্রোতের মুখে অনেকেরই শক্তভাবে দাঁড়াবার বুদ্ধিবৃত্তিক বল নাই, সাহসও নেই। তাই তারাও ভেসে চলেছেন স্রোতের টানে এবং আত্মসমর্পণ করেছে সেকুলারদের মিথ্যাচারের কাছে। মিথ্যার মোকাবেলা করা না হলে মিথ্যাই প্রবল হয়। সে মিথ্যা তখন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও ছাড়ে না। তাছাড়া সত্য প্রকাশ না করার জন্য মহান আল্লাহর সামনেও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তবে মিথ্যার স্তুপ যত বিশালই হোক সত্যের আগমনে তা দ্রুত বিলুপ্ত হয়। আরবে হাজার হাজার বছর ধরে মিথ্যার যে স্তুপ জমেছিল তা সত্য দ্বীন আসার সাথে সাথেই বিলুপ্ত হয়েছিল। অথচ সত্যদ্বীন আগমনের পূর্বে কেউকি সেটি ভাবতে পেরেছিল? তাই সত্য প্রতিষ্ঠা পেলে একাত্তরের আওয়ামী বাকশালী চক্রের ষড়যন্ত্রের ইতিহাস যে প্রকাশ পাবে তা নিয়ে কি সামান্যতম সন্দেহ আছে? সেটি তারা নিজেরাও বুঝে। তাই সত্যের প্রচারে বাধা দেয়। পেশীশক্তিই তাদের মূল শক্তি।
আল্লাহতায়ালা বলেছেন,“বলুন,সত্য এসে গেছে মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। আর মিথ্যা তো বিলুপ্ত হওয়ার জন্যই।”-(সুরা বনি ইসরাইল,আয়াত ৮১)।
তবে সে জন্য শর্ত্ব হলো সত্যকে প্রকাশ করা। আর এ দায়িত্বটা প্রতিটি সত্যপন্থির। শাহাদাতে হক্ব এজন্যই ইসলামে ফরয। বস্তুতঃ এ বই লেখা হয়েছে সে দায়িত্ববোধ থেকেই। আজ যারা জীবিত,শত বছর পর এদেশে তারা কেউই থাকবে না। কিন্তু থাকবে আজকের লেখা বই। নতুন প্রজন্মের আদালতেও একাত্তরের রাজনীতি ও ঘটনাবলি নিয়ে বিচার বসবে। বিবেকের সে আদালতে শুধু ইসলাম-বিরোধীদের বই সাক্ষী দিলে বিচারের নামে আরেক অবিচার হবে। সেখানে ইসলামপন্থিদেরও বক্তব্য চাই। নইলে ইতিহাসের বিচারকেরা সেদিনও অবাক হবে আজকের ইসলামপন্থিদের নির্লিপ্ততা দেখে। তাদের মনেও প্রশ্ন জাগবে, একাত্তরে যাদেরকে আসামীর কাঠগড়ায় খাড়া করা হয়েছিল তাদের কি কিছুই বলার ছিল না? এ বই লেখা হয়েছে সে বিষয়টিকে সামনে রেখে। তাই এ বইয়ের কাঙ্খিত পাঠক নিছক আজকের প্রজন্ম নয়, বরং শত বা বহুশত বছরের পরের নতুন প্রজন্মও। লক্ষ্য, তাদের আদালতেও সত্যকে তুলে ধরা।
আরো কথা হল, একাত্তর নিয়ে বলার বিষয় যেমন অনেক, তেমনি গবেষণার বিষয়ও অনেক। স্বল্প সময়ে ও স্বল্প পরিসরে এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির উপর সুবিচার করা সম্ভব নয়। এটি একটি লাগাতর গবেষনার বিষয়। একাজ করতে গিয়ে ছয় মাসের মধ্যেই প্রয়োজন দেখা দিল দ্বিতীয় সংস্করণ বের করার। আশা রইল অদূর ভবিষ্যতে আরো বর্ধিত কলেবরে ও আরো তথ্য দিয়ে তৃতীয় সংস্করণ বের করার।
সর্বশেষে মহান আল্লাহতায়ালার কাছে আকুল প্রার্থনা, তাঁর এ ক্ষুদ্র বান্দাহকে যেন আমৃত্যু নির্ভয়ে সত্য কথা বলার সামর্থ দিন। এবং সামর্থ দেন, মিথ্যা থেকে বাঁচার। তাওফিক দিন, যেন এ দুনিয়া থেকে জান্নাতের যোগ্য হয়ে বিদায় নিতে পারি। সর্বোপরি রাব্বুল আ’লামীনের কাছে আকুতি, তিনি যেন সত্যের পক্ষে সাক্ষী দেওয়ার এ ক্ষুদ্র প্রয়াসকে কবুল করেন। পাঠকদের থেকেও এ দোয়াই চাই। আল্লাহতায়ালা তাঁর সকল বান্দাহদের সামর্থ দিন সত্যকে বুঝার।
(বইটির pdf version download করুন এখানে)
Abu NM Tanveer Hossain
Dear Dr Kamal
Salam. I just have found this sites link from one of the group site who hate Pakistan. As my exams are just knocking on my door, I could not give your writings sufficient time. I just had 5 minutes to have a look at the Bangla article. I would say that that is a well -argued, articulated writing. Some of the points have always been in my mind, like the one about 30 million. I am of the view of looking at a topic from different angles. But on no point or argument on earth I can support your view that we would have been better as Pakistanees. If I had time I would go for my arguments although I believe that will not change your view. They never do.
Just let me ask you one last thing- does Islam teach you to support a Jaalim on any ground? With best regards
Firoz Mahboob Kamal
Dear Hossain, Walaikum Salam. I appreciate your interest in the subject. Your question is quite common and relevant. However, it”s a pity that you have spent only a few minutes to understand the whole issue. I would suggest you to read the whole article as the issue have been addressed already. The purpose of the writing was to present an analysis from Islamic viewpoint as the history about independence is inundated with the analysis made from secularist and nationalistic perspectives. I certainly don’t expect to convince everyone as it largely depends on which notion an individual is subscribed to.
S. Chowdhury
Dr. Kamal,
I read some of your pieces – undoubtedly the words reveal the work of a smart and educated intellectual. Right now I’m in the process of going through “71 er atto ghater itihas” – and I must commend you on the language you employ. The only comment I have is to address your attack on secularism and your focus on religion. It is my contention that religion has no place in the modern 21st century era. It is the relic of a bygone past and it is a thorn in the path to development and progress. It does nothing but create divide and halt progress for societies. I won’t reiterate examples here – both current and past world events stand as evidence to my words. Surely there is no justification to the belief that “an angel” came down to a shepherd meditating in a cave and revealed to him the word of god. What angel, and what god? It is time for us to leave our prehistoric myths behind.
Firoz Mahboob Kamal
Dear Mr.Chowdhury,
Thank you for visiting my blog. As a Muslim, if I suddenly start to believe that Islam is a relic of a bygone era then I will be left with nothing but a Muslim nameplate. I presume you already got an idea about my current belief. I would request you to read my articles on Islam and secularism and hope those will help you to clear some of your misconceptions about Islam and its importance in modern society. Regards.
Sajedur Akanda
Hi,
Even though I haven’t finished the full article, I want to ask you one question. How did you find that the 1971 war was against Islam. Can we really consider Pakistan as a truly Islamic country or their leaders as truly Muslims. Didn’t you see the present political situation of that country. Their president doesn’t hesitate to do military operation against Mosque in his own country just for securing his power. I think same thing happened during 1971. Corrupted Military leaders operated military operation against Bangladeshi just like they did last year against Lal Mashjid. They hardly think about Islam and love only power.
Fazle Elahi Mujahid
আল্লাহ আপনার কলমকে আরো শক্তিশালী করুন সত্যের পক্ষে লেখার জন্য।
Arju
Good writing. Keep it up. All Awami League I see is not human.
Habib
Fantastic work. The nation specially a large number of young people are looking for this type of writings so that masses can be aware. But we are so unfortunate that, we do not find much article or writer of such value. I pray to Allah (SWT) for your good health. Aameen.
Syed Rahat Zaman
Firoz Kamal lacks true sentiment of Razakar, anti-Islam and secularism in Bangladesh scenario. The Razakar issue is completely of crime against humanity i.e. members of this force who collaborated with Paki military in 1971 have proven track records of murder, loot, rape, arson, etc that has no justification but simple crime against humanity. Yes, there”s a section of intellectuals in Bangladesh who are personally involved in secular movement of their own characteristics but the essence they miss is that Islam had no conflict with secularism in true sense that they themselves lack. Same is the case with FM Kamal here, his explanation of attacking Islam while using Razakar tool is not correct in the sense that Razakar and Islam are not the same. If one rationally talks on Islam then they would find Islam won”t leave Razakars who killed, raped and loot people in the name of Pakistan.
Firoz Mahboob Kamal
Secondly, you have described razakars as collaborators of Pakistan army. This is a typical lie of the Awami League propaganda. Razakar is an urdu word. The meaning of razakar is volunteer. They were not the collaborator for any army or a person like Yahia Khan. They fought their own war against the enemies of their own country -which was Pakistan at that time. They never told that the razakars and Islam are the same –as you have mentioned. Islam is a religion and razakars are some motivated people, how a sensible man can think that these two are the same? The razakars simply believed in Pakistan as their homeland, and with that firm belief they volunteered themselves to save that homeland. For that reason, they fought side by side with other Pakistani people and the Pak army. In that war, many of them sacrificed their life, as many Indian people gave their life for India. Is it very difficult to understand this simple act of volunteerism? Anyone has the right to hate them as much they like -as they have the right to hate Pakistan. But one should not tell a lie. I feel you did not read my book “Ekattorer Attogather Itihas“. I have discussed this issue in more details there.
You have mentioned that razakars have done crimes like murder, rape and arson. These are old allegations, but not proven so far. Even if you tell these allegations thousands of time, that will not make it true or believable. Along with raising allegation, you must take the burden of proving it in the court. Awami League has been in the government twice, but has failed to prove such allegation during their rule of 9 years. They could not produce any believable documents to the police and the courts. Such allegations are only found in Awami League propaganda. These razakars did not flee to India, Myanmar, Pakistan or any other countries. There were hundreds of thousands of razakars in 1971, and still live in Bangladesh. How many of these razakars have been proven so far to be murderers, rapists or criminals in the court? If you have any proof, instead of raising allegations, you should immedaitely go to the court to file cases against them. If you can prove that allegation in the court, only then we will beleive in your claim. Otherwise, by such accusation, you are proving yourself as a politically motivated false accuser – as are the common practice of Awami League leaders.
Hasnain
Akjon rajakar 71 nia likhba to sudu bangladeshe sombob.karon a desher manush aktu bashe Boka.naila apnar ai lakha porar agae upnaka guli kora mara fala hoto.
Mahmud
Dear brother, my misconceptions were driven away. Please keep it continuing. Don”t care the comments against you, ONLY honest intellectual Muslims will love you and their numbers are becoming few as the era of resurrection is waiting above. Allah will reward you. Let us wait and continue, the day is ahead.
Tuhin
Salaam. Excellent, Firoz bhai! I found people are so afraid having a honest debate about 71-in particular the way freedom was given to us. I put a suggestion to one senior person of IM that IM must not shy away from raising this debate in local and national level. It is a blessing from Allah (SW) that AL pushing 71 agenda again. IM should grab the opportunity and show our nation with recent developments that the concerns, IM had about 71 are being materialized with growing Indian Dominance in the subcontinent. Genocide or war crime is separate issue, every responsible person whichever side may be, is to be tried under a rule of law compatible and recognized by similar international law. However, I personally believe that keep saying ”sorry” for a political decision of the past is not the right way forward for Islamic movement, if they are not involved in war crime. We know, even fighting against a national army is not a war crime, but killing innocent is. History is read differently at different times. How do we know, 15/20 year later, history of independence will not be judged differently? How do we know a time will not come when our generation will regret for heart beating freedom fight under a Hindustani agenda against a reluctant ‘Muslim state’ and they will then struggle to mitigate the damage done to our great Muslim Ummah? How do we know that a political stance taken in 71 will be a subject forever to criticize? Time has yet to come to make a judgement on the political correctness of our stance in 71. So let’s get the facts down, do not underrate ordinary people’s intelligence. Describe the history as it was, not as it supposed to be, work hard to disseminate information about struggle for true independence. By saying it, I do not imply that IM should be in denial to accept the reality of our time. What I meant is that ordinary people should be well informed and allowed to make their own mind about 71. We will betray this nation if we conceal the part of 71 in our heart for short term political gain that our people has every right to know.
If it is not the time to tell our story, it may never be.
Saikat
Niether Pakistan represent islamic country. Same Mujib is a self centered dictator who killed democracy!
Ahmad Kamal
Dear Mr Kamal, Assalam o alaikum. I am wishing you since I am a Muslim (not by name only). But I am constrained to say that what you have hitherto written are not truths. May be either you are ignorant or it is deliberate. My dear I was in Pakistan and Bangladesh during the period of turmoil in 1971. Actually I had been in Pakistan much before that also. And I do read a lot of history. I will ask you also to read the govt papers of Pakistan and the correct history wriiten by some of your mentors there. This will open your eyes before you start disseminating this poisonous diatribe of yours. Let me tell you that you are not serving the cause of any right thing, least of all Islam or Bangladesh. It really doesnt help these days to be a fifth columnist. Shortage of time is precluding the possibility of a detailed write up but I will Inshallah be back for more encounters.
Nafisa
I am really interested to know how you will validate those statistics from your “Islamic” perspective -“According to New York Times (3/28/71) 10,000 people were killed; New York Times (3/29/71) 5,000-7,000 people were killed in Dhaka; The Sydney Morning Herald (3/29/71) 10,000 – 100,000 were killed; New York Times (4/1/71) 35,000 were killed in Dhaka during operation searchlight.” What do you think? I really love this Quranic quote – “If anyone slays a person – unless it be for murder or for spreading mischief in the land – it would be as if s/he slew all people. And if anyone saves a life, it would be as if s/he saved the life of all people.” (Qur”an 5:32) I am really interested to know how you will explain that all murdered Dhaka university students actually were slayed for their “mischief”.
Administrator
Arman
Thanks for your most important task. I read it and pleased. May Allah bless you.
Anwar Hussain
Salam Dear brother. I appreciate your writing. We dont know till now lot of history. The traitors who fled to India during war, made history with their own theme. Those who wrote history of 1971, most of them design just to make Islamic parties as criminal. What ever the Awami League supporters has done heinous and barbaric killings, those writers did not write it. Every body write from beginning of war. True is true. If we hide it and mislead nation or new generation, Allah will not excuse them. I appreciate you once more for such valuable and intellectual writing.
MervinZox
Your comment is awaiting moderation.
дивитися фiльм и онлайн в хорошій якості Захар Беркут 2020 q4
Дивитися фiльм Захар Беркут
Дивитися фiльм Захар Беркут
Дивитися фiльм Захар Беркут
На гостей свята очікував сюрприз — просто перед входом до кінотеатру аніматори «Парку Київська Русь» влаштували видовищний перфоманс. Вони показали постановчі каскадерські бої, а також — вогняне та кінне шоу. Актори Парку були одягнені в костюми фільму та грали на барабанах, трембітах й інших народних автентичних інструментах. Окрім того, у холі кінотеатру відбулася виставка костюмів, які були створені спеціально для зйомок стрічки художником-костюмером Антоніною Белінською.
Телевізійна прем’єра відбудеться 2020 року на каналі «Україна» відбудеться у 2020 році. До речі, глядачеві, який не в темі, не так просто розібратися чому? Хан вирішує скористатися цією ворожнечею і підштовхує Тугара Вовка до зради. Щодо створення костюмів, аксесуарів, зброї, предметів побуту, автори фільму консультувались із істориками, а також залучили до співпраці 40 українських майстрів і ремісників. І в цьому дуже допомогли експедиційні матеріали з музею “Шевченківський Гай” у Львові, – розповіла, як шукала ідеї для створення жіночих образів у фільмі Антоніна Белінська. Ця орда рухається на захід, знищуючи все на своєму шляху. Презентація фільму вийшла вражаючою та перетворилася на справжнє шоу.
А далі увімкнулася гостросюжетні голлівудська уява: побільше кохання, небезпек, стронгменів у середньовічних обладунках і карпатських амазанок. Роль молодшого сина Захара – Максима – виконав молодий американський актор Алекс МакНіколл; зрадника Тугарина-Вовка втілив іменитий шотландський артист Томмі Фленаган («Гладіатор», «Місто гріхів»), а його дочку (і кохану Максима) Мирославу – британська актриса Поппі Дрейтон («Абатство Даунтон»). Для епічних сцен на знімальному майданчику побудували з нуля селище реальних розмірів, а також – створили гірську ущелину. Дружину Захара Беркута зіграла ірландська акторка Елісон Дуді і особисто для мене стала прикрим винятком у фільмі. Мовляв, в Голівуді такі речі виготовляють із пластика… Це було б не дивно, якщо б конструкція ущелина-село-ущелина не знаходилась на гребні довгої гори. Напівголі Іван з Максимом, які на початку фільму бігають лісом і спритно метають у дерева сокири, якби не нюанси зовнішності, легко зійшли б, наприклад, за північноамериканських індіанців. Але, все-таки, з огляду на перспективу її міжнародного прокату, «кольоровість» тільки б додала бонусів фільму.
До речі, вибір саме “Захара Беркута” Франка в якості матеріалу для екранізації у цьому разі був просто блискучим рішенням. І, звичайно, найбільша краса цього фільму — Карпати. Вільний доступ до івентів Mind для підписників та спеціальні умови на інші події Mind. Буквально один жарт на всю картину: «Дочка Тугарина-Вовка? Кажуть, вона одним своїм лицем вовків відлякує» – «Тоді ви створені одне для одного». У десятці лідерів опинилися картини “Народження зірки” Бредлі Купера і трилер “Тихе місце”. Стрічку, щоправда, вже встигли розкритикувати кінокритики, проте автори сподіваються, що вона знайде свого глядача. Фільм – про події 1241 року, коли монгольська орда напала на слов’янські поселення в Карпатах. Продюсерами фільму з американського боку є Джефф Райс, Юрій Карновський і Раджа Коллінз. Бережися, монголе, начувайся, загарбник! Вони ще є.
Історична драма «Захар Беркут» – це екранізація однойменного твору Івана Франка, який побачив світ у 1883 році. Повторно екранізувати сюжет взявся режисер Ахтем Сейтаблаєв. Стрічка стала одним із переможців 9 пітчингу Держкіно та отримала 30 млн. грн. із необхідних 75 млн. грн. із державного бюджету. Виробництво стрічки проходить у тісній співпраці із колегами з США. Співрежисером стрічки став Джон Вінн, а над сценарієм працювали Ярослав Войцишек та Річ Ронат. Основні зйомки проводились у Карпатах, зокрема на озері Синевир та Манявському водоспаді.1241 рік. Набіги Монгольської орди на слов’янські землі не припиняються. Руйнуючи все на своєму шляху, війська хана Бурунди зупиняються у Карпат. Одного разу мисливці брати Беркути проникають у ворожий монгольський табір і звільняють полонених. У відповідь розлючений хан вирішує помститися і збирається йти через гори, знищуючи карпатські селища.
ключі: дивитися фiльм и онлайн в хорошій якості Захар Беркут 2020 кіно Захар Беркут дивитися онлайн Захар Беркут КиноПоиск х ф Захар Беркут Захар Беркут фiльм и онлайн Захар Беркут фiльм трейлер кіно Захар Беркут 2020 дивитися онлайн Захар Беркут фiльм 2020 прем’єра фильм Захар Беркут 2020 смотреть онлайн hd смотреть Захар Беркут 2020 Захар Беркут смотреть онлайн 2020 Захар Беркут 2020 смотреть онлайн кино Захар Беркут новый фильм Захар Беркут фильм 2020 премьера Захар Беркут онлайн фильм Захар Беркут фильм 2020 смотреть онлайн полностью смотреть фильм Захар Беркут
Хіти прокату: @jnrsptp790 #yvqcdflf 7822 690WYH0 @fjbvxdmj100 #blmzvyt 7793 AWIR7RZL2 @dyraafih596 #pijibad 5592 XKCODCZLWN @ajdhmae441 #seduoq 7106 UVXQHZ0KOF @aqrkzro694 #scytduxx 5975 SXB6SKYIN8W @nuwfwpfh551 #vhascx 708 SOFJL1EKW02Q @tckgvmq8 #jcfvpj 3312 TGBZFK1 @fjrdjzqo888 #ozealj 2382 C9EY6PIQX8K @xfhqnnc649 #wtlhs 6855 5AKZO8I
Для цього потрібно оформити підписку за $7 на місяць. 00 год в музейно-культурному комплексі «Львіварня» (вул. Несамовитий від люті хан вирішує йти навпростець, щоб помститися і знищити карпатські поселення. Тизер-трейлер стрічки «Захар Беркута» можна подивитися за посиланням. Плюси. Згадуємо шкільний курс з української літератури. Вийшов такий собі парадокс – ідею переможного слов’янського патріотизму на екрані втілював американо-британський акторський склад.
.