১৫ই আগষ্ট গর্বের বিষয়- লাজের কিছু নয়
১. অহেতুক দূরত্বে থাকা
পঁচাত্তরের ১৫ই আগষ্ট ঢাকায় যে ঐতিহাসিক বিপ্লবী একটা ঘটনা ঘটেছিল, তা নিয়ে বাংলাদেশে কারও কারও লাজ-লজ্জা হয়। এই হীনমন্যতার কি কোন সবল যৌক্তিক কারণ আছে?
এদের কেউ কেউ বলতে চান যে ওদিন ঢাকায় একটি অঘটন ও দুঃখজনক খুনা-খুনী হয়েছিল কিছু প্রাণ নষ্ট হয়েছিল। তাই সেই খুন-খারাবীর জন্য আফসোস করা বাঞ্চনীয়। অনেকে তাই দূরত্বে থাকে-থাকতে চায়।
সন্দেহ নাই যে ঐ দিন ঢাকায় দুর্ভাগ্যবশতঃ কিছু প্রাণহানি হয়েছিল। যে কোন নিরীহ- নিদোর্ষ মানুষের প্রাণ নাশ যেহেতু কোন ভাল কাজ নয়, তাই ওই ঘটনাটিতে প্রাণ নাশও খারাপ কাজ হয়েছিল। সহজ সরল বিচারে এই যুক্তিটি ফেলনা নয়। কিন্তু যে প্রেক্ষিতে সেই পঁচাত্তরের পনরই আগষ্ট এর প্রত্যুষে ঢাকায় সংঘটিত হয়েছিল, তা কি কোন যেমন তেমন বিষয় ছিল? নাকি রাজনৈতিকভাবে বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের আজাদী-নিশ্চিত করার জন্য অতি জরুরী একটি কাজ ছিল?
২. সফল সামরিক অভ্যুত্থান বৈধ
বস্তুতঃ পঁচাত্তরের ১৫ই আগষ্ট ঢাকায় যে রাজনৈতিক ক্ষমতার হাত বদলের লক্ষ্যে সফল সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছিল, তা অভিনব বা নজীরবিহীন কোন ঘটনা ছিল না। এমন অনেক সফল বা বিফল অভ্যুত্থান অতীতে যেমন অনেক দেশে হয়েছে তেমনি এখনও কোন কোন দেশে হয়েই চলেছে। সফল অভ্যুত্থান রাজনৈতিক ক্ষমতার হাত বদলের একটি স্বীকৃত এবং বৈধ উপায়। আন্তর্জাতিক আইনের FACTUM VALET ম্যাক্সিমটি এই সফল সামরিক অভ্যুত্থানকে বৈধ বলে ধরে নেয়। তবে হ্যাঁ, বিফল অভ্যুত্থান বৈধতা পায় না। অবৈধই শুধু হয় না, বরং তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও বিবেচিত হয়। কিন্তু সফল অভ্যুত্থান তেমন কোন অপরাধের বিষয় হিসেবে আইনসিদ্ধ নয়। অন্য-কথায় বলা যায় যে সফল অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক ক্ষমতায় বৈধ-সরকার গঠন করার স্বীকৃতি দেয়। একই কারণে অভ্যুত্থানে কোনরূপ রক্তক্ষয়ের জন্য অভ্যুত্থানকারীদের Indemnity ও প্রদান করে। এই সফলতার Indemnity এর কারণেই তাই ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ এর আগষ্ট মাস পর্যন্ত একুশটি বছর সেই অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের কেউই করেন নি। করার অবকাশও ছিল না। তবে একটি জিডি হয়েছিল মাত্র সংশিষ্ট এলাকার ধানমন্ডি থানায়। আর অন্য কোন সুনির্দিষ্ট মামলা হয়নি। খুনের মামলাতো নয়ই।
৩. Indemnity ছিল অবশ্য অনুষঙ্গ
ঐ সংশিষ্ট অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ের মামলা হবার আইনতঃ কোনই সুযোগ ছিল না। তাছাড়া একটি বাড়তি Indemnity Order-ও ক্যু পরবর্তী সরকার জারী করেছিল যা ছিল Superfluous বা অহেতুক মাত্র।
সেই Indemnity এর কারণে অভ্যুত্থানকারীরা যার যার মত নিজ নিজ চাকুরীতে কেউ কেউ বহাল ছিলেন, আর কেউ কেউ ভিনড়ব পেশায় নিয়োজিত হয়েছিলেন। আবার কেউ কেউ রাজনৈতিক দল গঠন করে সরাসরি সক্রিয় রাজনীতি করেছেন। একজন তো ১৯৮৭ এর দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন। সেই প্রতিদ্বন্দী ভোটের বাক্সের একুনে তৃতীয় স্থানও দখল করেছিলেন (কর্ণেল ফারুক)।
৪. আগষ্টের বাড়তি অনুষঙ্গ ছিল ৭ই নভেম্বর
পঁচাত্তরের আগষ্টের ফলো আপ কিংবা সেই চেতনার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র এবং কাউন্টার ক্যু হয়েছিল, তা পরাজিত করেছিল ৭ই নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লব। ফলে এ পথেই যেমন একদলীয় বাকশাল পরিত্যক্ত হয়েছিল, তেমনি পুনরুদ্ধার হয়েছিল বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। তাছাড়া বাহাত্তর পঁচাত্তরের সাড়ে তিন বছর সময়ের দুঃশাসনকালে যে দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের চিন্তা, চেতনা, বিশ্বাস ইত্যাদি মৌলিক মানবিক অধিকারে চরম আঘাত করেছিল ঐ সময়ের সরকারটি তারও পরিসমাপ্তির সূচনা করেছিল নতুন জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধের সরকার। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার সরকার তারই নেতৃত্বে- এবং তারই গঠিত দল বিএনপি-কে সুসংগঠিত করে। বাকশালী/আওয়ামীদের সবল ও সফলভাবে যতসব জাতিদ্রোহী কাজ থেকে সাংগঠনিকভাবে নিরস্ত্র করে। প্রেসিডেন্ট জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে (একাশির মে মাসে শহীদ হবার পরও) পঁচাত্তর পরবর্তী আদর্শিক পথ পরিত্যক্ত হয়নি। হয়নি পঁচাত্তরের নায়কদের বিরুদ্ধে কোন হয়রানির মামলাও।
৫. শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার মামলা
দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৯৯৬ সালের জুন মাসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে প্রথমবার বসেই পঁচাত্তরের নায়কদের বিরুদ্ধে সাধারণ ‘খুন’ এর মামলা দায়ের করেন। বিশেষ আপনজন তদন্তকারীর মাধ্যমে তদন্ত করান। রিমান্ডে নিয়ে ওদের যারপর নাই হয়রানি করান। একজন কথিত হত্যাকারী খন্দকার আবদুর রশিদকে আটক বা গ্রেফতার করতে না পারায় তার স্ত্রী জোবায়দা রশিদকে সেই খুনের মামলার আসামী করে গ্রেফতার করান। তাকে রিমান্ডে নিয়ে বিশেষ নোংরা কায়দায় টর্চার করান বলে জানা যায়। ফলে বিদেশের অনেক মানবিক সংস্থা তার প্রতিবাদ করেন। তাই শেষ পর্যন্ত জোবায়দা রশিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন হাসিনার সরকার। অন্য যাদের বাংলাদেশে আটক করতে পারেন, তাদের বিশেষ জজ দিয়ে একটি ‘ক্যাঙ্গারু কোর্টে’ বিচার করান। প্রায় দু’বছরের মাথায় ১৯৯৮ সালের (৮ই নভ:) একটি রায় দেয় সেই বিশেষ কোর্টটি। রায়ে দেখা গেল যে ১৫ জন কথিত খুনের আসামীকে মৃত্যুদন্ড দেয় সেই কোর্ট। এই রায়টিতে বলা হয় যে ওসব আসামীর ‘ফায়ারিং স্কোয়ান্ড’ এ মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে।
৬. ডিকটেটেড বেআইনী রায়
অবাক হবার ব্যাপার ছিল এই যে ফায়ারিং স্কোয়াড এ মৃত্যুদন্ড দেয়ার কোন এখতিয়ার কোন সিভিল কোর্টেও নাই, ঐ জজ কোর্টেরও ছিল না। অথচ যে রায়ের এখতিয়ার নাই, সেই রায় কেন দিয়েছিলেন সেই জজ সাহেব (গোলাম রসুল)? অনেকে বলাবলি করেছিল যে ঐ রায়টি ছিল শেখ হাসিনার প্রতিহিংসাপরায়ন মনের জিঘাংসার খোরাক মিটাবার জন্য। অনেকে এও বলেছেন যে রায়টি ছিল হাসিনার ডিকটেটেড রায় মাত্র।
৭. হাইকোর্টে চাপ প্রয়োগ
সেই রায় আইনতঃ হাইকোর্টে যায় কনফারমেশন এর জন্য। সেখানে শুনানি তড়িৎ করানোর জন্য যতসব সম্ভব চাপ তাতো ঐ সরকারের ও হাসিনার পক্ষে থেকে দেয়াতো হয়েছিলই, তদুপরি রায়টি যখন হতে ওদের বিচারে দেরী হচ্ছিল, তখন তারা দলীয়ভাবে মিছিল সমাবেশ করে দাবী করে আরও দ্রুত রায় ঘোষণা করতে হবে। এক পর্যায়ে স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসিম একটি বিরাট লাটি মিছিল করে হাইকোর্ট ঘেরাও করে। নাসিম সেই মিছিলের অগ্রভাবে থেকে ঘোষণা করেন যে তারা লাঠি মিছিল করেই শেষ করবে না, তারা যথাসময়ে (জজদের) মাথায় লাঠিও মারবে! এসব আমার বানানো কথা নয়। পাঠক, ঐ সময়ের (২০০০ সাল) পত্র-পত্রিকার খবরের বিষয়বস্তু খোজ করে দেখলেই নাসিমের সেই বক্তব্য হুবহু লেখার ও ছাপার অক্ষরে দেখতে পাবেন।
৮. বিভক্ত রায় ও ফেসীবাদী আক্রমণ
যা হোক, দুই বিচারকের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ একটি বিভক্ত রায় দেন। একজন বিচারক ১৫ জনেরই ফাঁসি কনফার্ম করেন এবং আর জন ৫জনকে নির্দোষ বিবেচনায় খালাস দেন। এই রায়ে যে বিচারক ৫জনকে নির্দোষ খালাস দেন, তৎক্ষণাৎ হাসিনার বিশেষ বাহিনী সেই বিচারকের ভাই এর উপর আক্রমণ চালায়। উনার ময়মনসিংহ এগ্রি-ভার্সিটির সরকারী বাসা ঐ দলীয় মাস্তানরা আক্রমণ, ভাংচুর এবং অগিড়ব সংযোগ করে। তিনি পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। অন্যদিকে যে পাঁচজনের একজনকে নির্দোষ হিসেবে খালাস দেন তার গ্রামের বাড়ীতে যে আত্মীয় স্বজন থাকে তাও বিশেষ দলের গুন্ডা-পান্ডারা আক্রমণ করে এবং বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দেয়। অবশ্য সে আসামী পলাতক ছিলেন আগে থেকেই। হাসিনার বুলী বয়দের (Bully Boy) উগ্র ফেসীবাদ আর কাকে বলে। প্রতিহিংসারই বা কি জঘন্য ধরণ।
৯. তৃতীয় জজ এর রায়
বিভক্ত রায় বা Split Verdict যেহেতু তৃতীয় জজের কাছে রেফার করাই আইনের নিয়ম, তাই ঐ রায়টি ১০ জনের বাড়তি আরও দুজনকে ফাঁসির আদেশ দেন- অর্থ্যাৎ মোট ১২জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। এই রায়ের পর স্বভাবতই বিবাদী পক্ষে সুপ্রীমকোর্টে আপীল দায়ের করা হয়। কিন্তু ইতিমধ্যেই হাসিনা সরকারের পতন হয়। হাসিনা ২০০১ এর ১লা অক্টোবরের নির্বাচনে দলীয়ভাবে হেরে যান। বিএনপি জোট আক্টোবরের শেষে নতুন সরকার গঠন করে। এরপর আপীল বিভাগে বিচারকের স্বল্পতার জন্য সেই আপীলের আর শুনানি হয়নি। শুনানি হয় ২০০৭ সালে পরবর্তী সরকারের (তত্ত্বাবধায়ক) আমলে। যথানিয়মে শুনানির পর সেই আপীল ফুল বেঞ্চে শুনানির জন্য গৃহীত হয়। এখন জানা গেছে যে ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারী শেখ হাসিনা ২০০৮ এর ডিসেম্বর নির্বাচনে জিতে ফের সরকার গঠন করার পর পরই তড়িৎ গঠিত আপীল বিভাগে নতুন বিচারক নিয়োগ দিয়েছেন। তাই মনে করা যায় যে এই আপীল শুনানি খুব শীগগীরই শুরু হবে।
১০. থাইল্যান্ড ও আমেরিকা থেকে দুজন আসামী আনয়ন
ইতিমধ্যে ২০০১ এর মধ্যেই তখনকার হাসিনা সরকার বিদেশে অবস্থানরত একজন আসামীকে থাইল্যান্ড থেকে ফেরত এনেছিল, এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার আরও একজনকে আমেরিকা থেকে ফেরত আনিয়েছে। এদের সবারই (৫জন) আপীল একই সাথেই শুনানী হতে পারে। কি রায় হবে তা আমরা জানি না।
১১. আপীলের কাছে সঙ্গত প্রত্যাশা
তবে আমাদের নিশ্চিত বিশ্বাস এই যে আপীল মামলাটিতে যে শুরু থেকে MISCARRIAGE OF JUSTICE হয়েছে, সঠিক সুবিচার হয়নি, সফল ক্যু-কে সাধারণ খুন-খারাবী সাজিয়ে প্রতিহিংসার মামলা করা হয়েছে, Indemnity এর প্রয়োজনীয় কোনই তোয়াক্কা করা হয়নি সেই শুরুতেই, বিচার প্রক্রিয়ায় অতীতে প্রতিটি পাদক্ষেপে যে DUE PROCESS OF LAW মানা হয়নি, হাসিনার প্রতিহিংসা বা জিঘাংসাই সর্বাগ্রে বিবেচিত হয়েছে, তা সব নিশ্চিতভাবেই আপীলের বিবেচনায় স্থান পাবেই পাবে। কেননা, পঁচাত্তরের ১৫ই আগষ্ট সাধারণ খুন-খারাবীর কোন ঘটনা ছিল না, ছিল মাত্র সফল সামরিক অভ্যুত্থান। এ নিয়ে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি অনুগত কারোই কোন তিলমাত্রও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকা কোনভাবেই বাঞ্চনীয় কোন কাজ হতে পারে না। এ নিয়ে লাজ-লজ্জার বা হীনমন্যতারও কোনই সুযোগ নাই। স্মরণ করা ভাল যে যেমন ধরুন ১৯১৭ সালে রাশিয়ার বিপ্লবের অনুষঙ্গ হিসেবে জারের পরিবারের সবাইকে গুলি করে মেরেছিল বিপ্লবীরা। সেই পরিবারের একটি বিকলাঙ্গ শিশুও সেই হত্যাকান্ড থেকে রেহাই পায়নি। এটিই অভ্যুত্থানের অনিবার্য অনুষঙ্গ। তাই পুনঃ বলতে হয় যে পনেরই আগষ্ট নিয়ে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বাংলাদেশী কোন শক্তির বা গ্রুপের কোনই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকার কোনই অবকাশ নাই। একজন সাবেক প্রধান বিচারপতিসহ আরও একজন বিচারপতি ২০০০ থেকে ২০০১ সালে বিবিসি এবং পত্রিকা বিশেষের কাছে মন্তব্য করেছিলেন যে ঐ বিচার কোনভাবেই সঠিক হয়নি।
২০০৮ সালের ১৫ই আগষ্ট ঢাকায় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে আর একজন সাবেক হাইকোর্টের বিচারপতি সরাসরি প্রকাশ্যেই মন্তব্য করেছিলেন যে ‘যারা ফারুকের ফাঁসি দাবী করে, তার আগে সফিউলাহর (পঁচাত্তরের আগষ্টে যিনি সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন) ফাঁসি চাইতে হবে। এই খবর পরের দিন ঢাকার কয়েকটি দৈনিকীতে প্রকাশিত হয়েছিল, পরে কোন কোন সাময়িকীতেও, সফিউল্লাহকে নিয়ে একজন বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন যে তারও আসামী হওয়া উচিত, সাক্ষী নয়। অনেকেরই স্মরণে থাকতে পারে যে ঐ মামলার শুনানি প্রশ্নে সাত সাতজন হাইকোর্টের বিচারপতি আইনসঙ্গতভাবেই বিব্রত বোধ করেছিলেন যা কিনা শেখ হাসিনা অজ্ঞতাবশতঃ জিঘাংসায় ফেটে পড়েছিলেন-বিচারকদের যা তা জঘন্য ভাষায় তিরষ্কার করেছিলেন। অবশ্য হাসিনাও দু’ দুবার হাইকোর্টের তিরষ্কারও শুনেছিলেন।