আমি আলবদর বলছি
আমি আলবদর ছিলাম। একাত্তরের সিদ্ধান্ত আমার নিজস্ব। আমার বিবেকের সাথে পরামর্শ করে এ সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছিলাম। কোন দল কোন গোষ্ঠী অথবা কোন ব্যক্তি এ সিদ্ধান্ত আমার ওপর চাপিয়ে দেয়নি। আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়ে অথবা কোন কিছুতে প্রলুব্ধ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম একথা সত্য নয়। বন্দুকের নলের মুখে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি তাও নয়।
২শ’ বছরের গোলামীর ইতিহাস, সমসাময়িক হিন্দু চক্রান্ত, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অতীত কার্যকলাপ, তথাকথিত সমাজতন্ত্রীদের দুরভিসন্ধি সব মিলে ২৫শে মার্চের পর আমার বিবেকে একটা ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। আমার তারুণ্যকে পরিস্থিতির সুলভ শিকারে পরিণত হতে মন সায় দেয়নি। বার বার মনকে প্রশ্ন করেছি: এদেশে ইট কাঠ দালানগুলো ও অন্যান্য জড় পদার্থের মত আমি নীরব দর্শক হয়ে বোবার মত দাঁড়িয়ে থাকব? এই আত্মঘাতী ষড়যন্ত্রের শেষ কোথায়? যে হিন্দুস্তান তার নিজের দেশে হাজার হাজার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সৃষ্টি করে মুসলমানদের নিধন করছে, সেই ভারত কী স্বার্থে পূর্ব-পাকিস্তানের আট কোটি মুসলমানদের জন্য দরদে উচ্ছসিত হয়ে উঠল?
আওয়ামী লীগের তৎকালীন ধ্বংসাত্মক তৎপরতা ৫৪ হাজার বর্গমাইল একটি ভূখণ্ডকে সেই দেশের মানুষকে দিয়ে পদানত করার ভারতীয় প্রয়াস বলে আমার ধারণা হল। মনে হল এদেশের ৮ কোটি মুসলমানকে দিল্লীর আজ্ঞাবহ সেবাদাসে পরিণত করতে চায় আওয়ামী লীগ। ইসলামী জজবাতের ঘুমন্ত সত্তা আমার মধ্যে জেগে উঠল। আমি সবকিছু জেনে শুনে সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার পিতা অথবা পিতামহদের আশা-আকাক্সক্ষা ছেচল্লিশের গণরায়ের সপক্ষে হাতিয়ার তুলে নিলাম। সক্রিয় অংশ নিলাম প্রতিরোধ লড়াই-এ। তারপর রুশ-ভারত অক্ষশক্তির সব ষড়যন্ত্রের শেষ পরিণতি হল ১৬ই ডিসেম্বর। চূড়ান্ত বিপর্যয় হল। বিচ্ছিন্ন হল দেশ। এক ভয়ঙ্কর বিভ্রান্তির গণজোয়ারকে বালির বাঁধ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি, পারিনি। দেশের প্রত্যেকটি জনপদ রাজপথ গ্রাম আর গঞ্জে দেশপ্রেমিক মানুষগুলো লাঞ্ছিত রক্তাক্ত হল। মীরমদনরা নিক্ষিপ্ত হল মীরজাফরের কারাগারে। আমিও কারা প্রকোষ্ঠে অন্তরীণ হলাম। আমার ৪০ বছর কারাদণ্ড হল। আমি দেখেছি বিচারক নিজেই ছিলেন আমার চেয়ে অসহায়।
এরপর পদ্মা মেঘনা যমুনায় অনেক পানি গড়িয়ে গেছে। মুজিবের প্রতিশ্রুত ৩ বছরও পেরিয়ে গেল। ভয়ঙ্কর হতাশা, নৈরাজ্য, অর্থনৈতিক সংকট ঘিরে বসল গোটা জাতিকে। গলাবাজি আর সন্ত্রাস দিয়ে বিবেকবান প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা অব্যাহত থাকল। কিন্তু তবু মুজিব ধুমায়িত গণ-অসন্তোষকে ঢাকতে ব্যর্থ হল। পনের আগস্ট সূর্য ওঠার আগেই সুপ্তোত্থিত মোহমুক্ত দেশপ্রেমিক সৈনিকদের গুলীতে মুজিবের বুক বিদীর্ণ হল। তার খুন আর লাশের ওপর পা দিয়েই সম্ভবত সেদিন এদেশে সূর্যোদয় হয়েছিল। বুক ভরা নিঃশ্বাস নিয়েছিল এদেশের কোটি কোটি মানুষ। সেদিন তার ঠ্যাঙারে বাহিনী লাল নীল বিচিত্র বাহিনী তার সমর্থক জালেম লুটেরার দল ভীরু শৃগালের মত লুকিয়ে ছিল অন্ধকার গহ্বরে। সেদিন বাঙালীর চোখে অশ্রু নয় উল্লাসের হাসি দেখেছিল পৃথিবী।
আমরা কারাগার থেকে জাতীয় জীবনের এই নাটকগুলো নীরব দর্শকের মত দেখলাম। বোবা শ্রোতার মত শুনে গেলাম অনেক কিছু। আমাদের কি করণীয় আছে? একাত্তরে আমাদের বিবেক আমাদের সত্তা সব শেষ হয়ে গেছে। আমাদের হাত আছে হাতিয়ার নেই তূন আছে, তীর নেই।
কারাগার ছিল একটি নাট্যমঞ্চ। দৃশ্যপট বদলের সাথে সাথে এই মঞ্চে আসতে শুরু করল নতুন নতুন মুখ। প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, দলনেতা, কর্মী ও অনেকেই। যারা এইমাত্র ক্ষমতাসীন ছিলেন তাদেরও ঠিকানা হল এই কারাগার। কালের সাক্ষী হয়ে আমরা সবকিছু দেখেছি। এই কারাগারে ডান, বাম, মধ্য সবপন্থী নেতা ও উপনেতাদের পেয়েছি তাদের অনেকের সাথে অন্তরঙ্গ আলাপ হয়েছে। স্মৃতি থেকে যতটুকু পেরেছি, আমার এই সাজান স্বরলিপিতে টেনে আনার চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও রয়েছে অনেক কিছু। পরবর্তীতে তুলে ধরার আশা রাখি।
অনেক দেরী হয়ে গেছে। কারাগার থেকে বেরিয়ে আমার সামনে নি-িদ্র অন্ধকার ছাড়া অবশিষ্ট কিছু ছিল না। জীবন ও জীবিকার সন্ধানে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। স্মৃতি রোমন্থনের সময় কোথায়? কারাগারের শেষ দিনগুলোতে মোহাম্মদ ফারুক, আব্দুল মালেক ও এ কে. এম শফিউল্লাহ ভাই ডায়েরী সরবরাহ করে স্মৃতিগুলো লিখে রাখার জন্য। নৈরাশ্য অথবা আলস্য, যে কারণেই হোক না কেন সেগুলো ঠিকমত লিখে রাখা হয়নি। তবে স্মৃতিতে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে এখনও অনেক কিছু। এর কিছুটা এই বইটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে।
অনেক দেরী হলেও বইটা প্রকাশ করতে পেরে আনন্দিত। অবিশ্য এর জন্য বাকস্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশও অপরিহার্য ছিল। বইটিতে আমার মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে। আমি লুকোচুরি রাখঢাক অথবা ডিপ্লোম্যাসির আশ্রয় নিইনি। কাউকে ক্ষুণœ করাও আমার উদ্দেশ্য নয়। কেবল আমার বিশ্বাসকে তুলে ধরেছি। আমার বিশ্বাস অহিপ্রাপ্ত অথবা সমালোচনার উর্ধে এমনটি নয়। নিয়মতান্ত্রিক সমালোচনাকে আমি স্বাগত জানাব।
আমার অতীত জেনে শুনে যে মহিলা আমাকে বিয়ে করেছেন সেই আনোয়ারা খন্দকার বেবীর প্রেরণায় বইটা প্রকাশে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। পত্র-পত্রিকার পাতায় পাতায় যেভাবে আলবদরকে বর্বরতার প্রতীক হিসেবে দাঁড় করান হয়েছে, এতে ইতিহাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ব্বোচ্চ ডিগ্রী নেয়া একজন মহিলার আমার প্রতি বিরূপ ছাড়া অনুরক্ত হওয়ার কোন সঙ্গত কারণ নেই। এমন কোন প্রাচুর্যের জৌলুসও আমার ছিল না। আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের একতরফা বিশ্রী প্রচারণায় প্লাবিত সমাজের একজন হয়েও বেবী আমাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বেচ্ছায় গ্রহণ করেছে। শুরু থেকে চাপ দিয়ে আসছে আমার অভিজ্ঞতায় নিরপেক্ষ কিছু লেখার জন্য।
তার ভাষায় ‘ইতিহাস তার নিজস্ব গতিধারায় এগিয়ে চলে। একদিন নিরপেক্ষ নির্ভেজাল ইতিহাস লেখা হবে। সেই আগামী দিনের ঐতিহাসিকদের জন্য কিছু তথ্য রেখে যেতে পার।’ বেবীর সাধ কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি জানি না। তবে আমার বিক্ষিপ্ত কলমের আঁচড় আলোর মুখ দেখতে পেয়েছে তারই প্রেরণায় একথা বলতে দ্বিধা নেই।
বিভিন্ন জনের সাথে আমার বিভিন্ন সংলাপ আমি সঠিকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আমার এই লেখা কতখানি সুখপাঠ্য ও সমাদিত হবে সেটা আমার জানার কথা নয়। বিজ্ঞ পাঠকদের ওপর আমার বইটির সঠিক মূল্যায়নের ভার দিচ্ছি। বইটির তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নিকট থেকে অনেক তাগিদ পেয়েছি। যারা আমাকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত ও বিরল সহযোগিতা করেছেন তাদের মধ্যে অধ্যাপক মাহাতাব উদ্দিন কিশোরগঞ্জ, মীর কাসেম আলী মিন্টু ভাই, বিশিষ্ট ব্যাংকার সুসাহিত্যিক কলামিষ্ট গবেষক আব্দুল মান্নান ভাই, মাসিক নতুন সফর সম্পাদক সাবেক ছাত্র নেতা মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন ভাই কারাগারে থাকা অবস্থায় আমাকে কিছু লেখার জন্য বলতেন তাদের সেই প্রেরণাও বইটি লেখার ব্যাপারে শক্তি যুগিয়েছে। বিশেষজ্ঞ ডাঃ আফসার সিদ্দিকী, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ হাবিবুর রহমান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মুস্তাক আহম্মদ, মোঃ কামরুল ইসলাম, মোঃ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, ডক্টর মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, মোঃ আব্দুল কাহ্হার, এস ডাব্লিউ ভি ফরিদা ইয়াসমীন, সাবেক ছাত্র নেতা ইমতিয়াজ আহম্মদ খান, সাবেক কেন্দ্রিয় ছাত্র নেতা জাকির হোসেন (মুকুল), আক্তার উজ্জ-জামান, মোঃ এনামুল হক, মুহাম্মদ সামসুদ্দিন, এস এম দুররুল হুদা, ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল আব্দুস সামাদ সাহেব প্রমুখের নিকট আমি চির কৃতজ্ঞ।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও মুদ্রণ জনিত কিছু ভুল-ত্রুটি রয়ে গেল। আশা করি পাঠকগণ সেটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তবু সবরকম ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
১৫ আগস্ট, ২০০৮
আমিনুল হক
সাবিয়া নগর, অষ্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ
(বইটির pdf version download করুন এখানে)
Shamim
কে এম আমিনুল হকের লেখা “আমি আলবদর বলছি” বইটি পড়লাম। ইতিপূর্বে ডা. ফিরোজ মাহবুব কামালের “একাত্তরের আত্মঘাতের ইতিহাস” সহ প্রফেসর সাজ্জাদ হোসাইনের “একাত্তরের স্মৃতি” এবং প্রফেসর মুমিন চৌধুরির “Behind The Myth of 3 Million” বইগুলিও পড়েছি। সবগুলি বই খাটি তথ্য নির্ভর এবং অসাধারণ যুক্তি সমৃদ্ধ। যতই পড়ছি ততই হতবাক হয়ে যাচ্ছি বর্তমান সময়ের মিথ্যার জয়জয়কার দেখে। আমি স্বাধীনতাপন্থিদের লেখা ইতিহাসও পড়েছি। কিন্তু তাদের লেখায় পাকিস্তান এবং পাকিস্তান পন্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ও বিষদগার ছাড়া তেমন কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। ঐতিহাসিক মান ও সমসাময়িক যুক্তির নিরিখেও সেগুলো আলচ্য বইগুলোর আশে-পাশে আসার যোগ্য নয়। কিন্তু তারপরেও সত্যের এই পরাজয় কেন? আমার কাছে মনে হয়েছে যারা মিথ্যা প্রপাগান্ডার শিকার তাদের সীমাহীন অযোগ্যতা ও একাগ্রতাহীনতাই আজকের এই অবস্থার জন্য দায়ী। অবাক হই বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর স্বাধীনতাত্তোর ভুমিকা দেখে। তাদের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে প্রপাগান্ডা চলেছে এবং চলছে। তারা এত আন্দোলন-সংগ্রাম করে, অথচ এই সত্য কথাগুলো আমরা নতুন প্রজন্মদের সামনে কখোনও তুলে ধরার চেস্টাই করেনি। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই তথ্যগুলো যদি আমাদের কাছে না আসত তাহলে এই সত্য কখনোও জানতামই না। (মুলতঃ ডা ফিরোজ কামালের লেখা “একাত্তরের আত্মঘাতের ইতিহাস” বইটি পড়ে এই জাতির ইতিহাস জানার প্রচন্ড আগ্রহ সৃষ্টি হয়।) এই আমি কিছুদিন আগ পর্যন্তও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে অহরহ দাবী করতাম একাত্তরে তাদের ভুমিকার জন্য জাতির কাছে মাফ চাইতে। অথচ এখন আমার মনের অবস্থা এই যে, ভবিষ্যতে যদি আবার কখোনও এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তবে পরিণতির কথা না ভেবেই ঐ একই ভুমিকা নেওয়া উচিত যা তারা একাত্তরে নিয়েছিল। যাইহোক আমার বিশ্বাস এই অবস্থা একদিন থাকবে না। তার প্রমাণ আজকের এই বইগুলো। আমি মনে প্রাণেই বিশ্বাস করি তথাকথিত জাতির পিতাকে ইতিহাস একদিন মিরজাফরের কাতারে দাঁড় করাবেই। তার চিহ্ন ইতিমধ্যে ফুটে উঠা শুরু হয়েছে। আমি বাংলাদেশকে এখনও কিছুটা স্বাধীন মনে করি। তবে সে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টে, তথাকথিত ষোলই ডিসেম্বর নয়। এখন আসি কিছু গুরুত্বপুর্ণ কথায়। “Behind The Myth of 3 Million” এবং “The Wastes of Time” বইগুলি যারা উচ্চ শিক্ষিত এবং ইংরেজিতে সাহিত্য পড়ার অহরহ অভ্যাস আছে তাদের জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষিতরা এখনও সেই মানে পৌছায়নি। তাই ঐ বইগুলি বাংলা অনুবাদ বের করা যায় কিনা তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। আমার হৃদয় নিংরানো সালাম ও শ্রদ্ধা জানাই প্রিয় ভাই কে. এম. আমিনুল হককে। তিনি যদি তার বাকি বইগুলো শিঘ্রই এই ওয়েব সাইটে সরবরাহ করতেন তবে আমরা যার পর নাই উপকৃত হতাম। পরিশেষে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে এই বলে প্রার্থনা করি, এই উদ্দগে সংশ্লিষ্টরা যেন আরও অধিক দিন বেঁচে থেকে মুসলিম জাতির এই মহান খেদমতে আন্জাম দিতে পারেন। আমিন। শামীম (কোরিয়া থেকে)
মাজহার
আমি শামীম ভাইয়ের সাথে সম্পূর্ন একমত। আমরা অনেক কিছুই জানিনা, আমরা সত্য ইতিহাস জানতে চাই। এই সাইটের বইগুলো পড়ে আমি স্তম্ভিত হয়ে পড়েছি, অনেক অজানা তথ্য জানা গেল। আরো বই আপলোড করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
Monawwar Ahmed
Having read some pages of the book, I felt that I should write a few lines on the literary merits of it. Many a book goes beyond their discursive setting to please the readers of other disciplines, such as Edward Gibbon’s THE HISTORY OF THE SARACEN and THE HISTORY OF THE DECLINE AND FALL OF THE ROMAN EMPIRE; they are read for their literary merits more than their original objective as being historical work. This piece of writing of the author is almost similar. Once you start reading it, the narrative quality doesn’t seem to let you go of it. I would recommend readers of any persuasions, including political, to read it; no one needs to be persuaded to believe or accept what he had written, but simply to appreciate the ‘authorial energy’ that he had induced into narrative; you cannot escape it.
Ahsan
My only and eager request to you and all people like you to write in details, ins and outs of that war, all facts in the form of text and online version. Plz spread these information to Bangladeshi people and to the whole world. I really get many untold and hidden facts which must be disclosed to the whole nation. By the will of Almighty, truth will prevail, today or tomorrow. “Man is unjust but God is just, finally justice triumphs.”
Salman
InshAllah! Truth has to come out one day – This is Allah’s promise. He knows well about His secrets when to disclose.
Mehdi
আমি একটা জিনিস খেয়াল করেছি যে কওমী মাদ্রাসার ছাত্ররা ৭১ এ ইসলামের পক্ষে দাড়িয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক যে অনেককে দেখি কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের মুক্তিযোদ্ধা প্রমানের চেষ্ঠা করে। আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোজে বই লেখে।
Ashequs Samad
I am always interested in perspectives and views from all sides of an issue. As a result I have spent considerable time reading through this site and Dr. Kamal’s writing, etc. What I have failed to understand is the deep love and importance of Pakistan to proponents of these views. After 40 years why does Pakistan matter at all? What is the relationship between Islam and Pakistan? Have you kept up with Pakistan? Do you see what a terrible, repressive mess that country has become? Are you not glad that we are not a part of that misery any more? Have you considered the view-point that Pakistan was created as a buffer state for the Western powers and served it”s role faithfully till date while not serving it”s own people at all.
Administrator
Salman
Your comment raises another question. What would you say about the generation that actively struggled for freedom and Pakistan movement (In Fact, Muslim League was born in Dacca by a Bengali Nawab)? If Pakistan was created as buffer state for West, BD remained part of that. If your comment is considered correct, don”t you think that the same Western Powers changed the game plan and they created Bangladesh? If not for any other reasons, still for one reason, We all demanded a separate country in the name of Islam and so is the relationship between Islam and Pakistan. You can’t claim this because BD’s creation based on “Our hands were tied”. Ask the souls of your forefathers about the relationship b/w Islam and Pakistan too. If you think creation of Pakistan was a sin, they are equally responsible for this “Sin”. Misery, repressive mess or the similar words about Pakistan are really disgraceful and displeasing. What media is portraying is not the real face of Pakistan. Whether its Heaven or a Living Hell, it is our country and no one has the right to use such remarks about it. We respect your views, your freedom and we feel more pleased than anyone else in the World whenever BD makes one step forward towards prosperity. Irrespective of the past, we consider BD a younger brother whether you consider us or not.
Ashequs Samad
Thank you for your response. I hope this does not remain a private dialog between us and will appear on your site as well? I would like to respond to some of your comments. I am not agitated at all and am glad you are providing perspective from the “other side”. I am also sure there may be some lies, conceit, misinformation and propaganda involved in the creation myth of Bangladesh. It was so in the case of the birth of India and Pakistan. That is true for the birth of most nation states, civilizations, political entities and even religions. If truth is ultimately what you seek, you should consider the propaganda of your side carefully and not self-righteously assume your perspective to be the ”whole, unalloyed truth”. All that is written or said about the creation of Bangladesh is not myth and all historians are not corrupt or in the pocket of any one ideology. Some historians will try to unearth the truth and the truth has a neat way of emerging over time (Ibn Khaldun) whereas ideologists will constantly try to impose their view of the ”truth” on others. Also, your claim that the birth of Bangladesh is illegitimate raises questions. Who decides if it is illegitimate? What gives legitimacy to such an outcome? Was the division achieved by Nehru-Jinnah-Radcliffe-Mountbatten legitimate? Was Nehru or Jinnah any less vain or power-hungry than Sheikh Mujib? Are the borders of the nation-states anywhere in the world today legitimate? One may like a border and another may not, in the same way that one man’s freedom-fighter is another’s terrorist. The question is not one of legitimacy of the arguments and propaganda of the two sides, but whether the majority of the peoples aspirations are reflected in the outcome. I think there is little doubt that the majority of East Pakistanis wanted to secede and are at peace with the separation. Perhaps, it’s high time you accept this reality as well. I would also like to clarify that I did not call Pakistan a ”failed state” nor am I amused by its current plight. There is no reason to relish in anyone’s misery. However, it remains true that we don”t have to deal with the particular problems that Pakistan is facing in addition to the many issues that plague us. We are struggling along our own path towards a better Bangladesh. We may not succeed, but at least our hands are not tied by West Pakistan or by the issues and limitations of West Pakistan. You did not address my earlier statement about how Pakistan has utterly failed to serve it’s own people (of the west or east) over it’s history. However, till date it has continued serving it’s western masters needs of a buffer state at that location. Also, the sides in this argument or discussion are not divided neatly into Pakistani collaborators and Indian collaborators. I cringe when I hear AL sympathizers call anyone who opposes them to be ”Pakistan Collaborators”. Likewise, I cannot appreciate your comment about the opponents to your ideology and those involved in the independence struggle of Bangladesh being ”Indian Collaborators”. The whole independence movement of Bangladesh was not simply a struggle between those two sides. Are you completely ignoring the history of agitations in East Pakistan and oppression of the East by the West? In the history of 25 years together the Eastern side never achieved proportional representation. Are you forgetting that while 30 million Bangladeshis most definitely did not die in 1971, several million did? The number is surely several orders of magnitude higher than those that died or suffered on your side (not to minimize deprivation, suffering or injustice suffered by anyone). To finish , let me go back to my point that Pakistan itself is absolutely irrelevant to us now that 40 years have passed since the civil war and the two have indeed parted ways. The only reason it remains in the current narrative is because people of your ilk are holding on to it. Hence, my questions earlier. However, India remains relevant for many reasons including our shared borders and water resources. I agree that we should remain vigilant in defending these borders and maintaining our autonomy. While this may be difficult and India will constantly try to violate our independence, our history tells us that it is achievable (200 + years of independent Muslim Sultanate in Bengal after the Tughlaq dynasty). Let’s worry about this challenge and let the issue of Pakistan pass. The issue is anachronistic and has passed just as water under a bridge.
Administrator
Shah Alam
What an absolutely brilliant reply! I’m new to this website myself. I was completely enthralled by the writing of Syed Sajjad Hussain, please do try to publish his other works. I will do my best to publicize this website. It is an excellent endeavor. As a Bangladeshi, my sincere thanks to the creators and contributors of this website.
Masud
লেখাটা পড়ে অনেক কেঁদেছি। অনেক কিছুই জানিনা, আমরা সত্য ইতিহাস জানতে চাই। “তোমাদের সমস্ত গুনাহর কাফফারা মৃত্যুর দোর-গোড়ায় এসেও আমাদের দিতে হবে, সে আমরা জানি। তোমরা ধ্বংস করবে আমরা গড়ব। তোমরা বিদেশীদের দালালি করবে আর দালাল হিসেবে চিহ্নিত হব আমরা। যুগে যুগে ইসলামের সৈনিকরা সমগ্র জাতির ভুলের মাশুল দিয়েছে তাদের জীবন দিয়ে।” যাযাকাল্লাহ খায়র
Asma
আজই ১ম এই Story of Bangladesh নামক সাইটি হঠাৎ পেলাম এবং “বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর অপরাধ” লিখাটি পড়লাম এরপর আরো কিছু লিখার ভুমিকা পড়লাম (সময়ের অভাবে এগুতে পারিনি) নিজেকে মনে হল ইতিহাসের মহাসমূদ্রে ভাসমান ছোট্ট একটি কচুরীপানার সদ্য অংকুরিত পাতা। নতুন প্রজন্মকে অনেক কিছুই জানা উচিৎ এখান থেকে। কিন্তু ভয় হয় বর্তমান আওয়ামী+নাস্তিক সরকারের কবলে পড়ে যে কোন মুহুর্তে এই সাইট আমাদের নিকট থেকে হারিয়ে যেতে পারে যেমনিভাবে “সোনার বাংলা” ব্লগটিকে তারা হত্যা করেছে! যা-ই হোক আমার এ মন্তব্যের উদ্দেশ্য একটাই। আর তা হলো, যারা এ ব্লগটির লেখক ও পাঠক আপনারা যেন প্রতিটি লিখার ১টি কপি ডাউনলোড করে নিজের সংগ্রহে রেখে দেন। তাহলে নতুন প্রজন্মের নিকট এগুলো পৌঁছে দিতে সহজ হবে।- আমি সত্যবাদীদের সহযোদ্ধা। আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন যেন আমাদেরকে সত্য প্রকাশে দৃঢ় রাখেন। আমিন।