(বইটির pdf version download করুন এখানে)
প্রসঙ্গ কথা

বছর কয়েক আগে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কর্মকর্তাদের এক সভায় সাবেক আইজিপি, এমব্যাসেডর ও কেয়ারটেকার সরকারের মন্ত্রী এ. বি. এম. কিবরিয়া একটা ইংরেজী বই আমাকে দেখিয়ে বললেন, ‘পড়েছেন? আপনার জেল জীবনের অনেক কথা এতে আছে।’ আগ্রহভরে তাঁর কাছ থেকে সেটা নিয়ে দেখলাম বইটার নাম The Waste of Time-লেখক ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন। ড. হোসায়েনকে আগে থেকেই জানতাম। কিন্তু কখনও তাঁর সাথে ঘনিষ্ঠতা ছিল না। তবে জেলের ভিতর তাঁর একান্ত সাহচর্যে আসতে পেরেছিলাম।

এ ঘটনার কয়েকদিন পর আঞ্জুমানের সিইও প্রাক্তন ডিভিশনাল কমিশনার সাইদুর রহমান সহ The Waste of Time-এর প্রকাশকের অফিস ৪৪ পুরানা পল্টনে যাই বইটা সংগ্রহ করতে। প্রকাশক মুহম্মদ আশরাফ হোসাইনের সাথে দেখা হয়। প্রথম দিনেই অনেক কথা তাঁর সাথে। তিনি আমাকে আমার জীবনের ফেলে আসা দিনগুলো নিয়ে লেখার অনুরোধ করেন। ভদ্রলোক নতুন সফর নামে একটা মাসিক পত্রিকাও বের করেন। তিনি বললেন আপনার মত ঘটনাবহুল জীবনের অধিকারী ব্যক্তিদের স্মৃতিচারণমূলক লেখা আমরা উৎসাহের সাথে প্রকাশ করি। আমরা মনে করি এতে আমাদের দিক-দিশাহীন নতুন জেনারেশন কিছুটা হলেও তাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হবে।

তাঁর কথায় আমি প্রভাবিত হলাম, অনুপ্রাণিত হলাম। এরপর শুরু হল লেখার পালা। কিন্তু আমি লেখক নই। লেখার অভ্যাসও নেই। পড়লাম মহাবিপদে। কি করি কি করি যখন ভাবছি তখন আশরাফ সাহেবের অনুরোধে এগিয়ে এলন তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল লেখক ফাহমিদ-উর-রহমান। আমি বলতাম-তিনি লিখতেন। মাঝে মাঝে প্রশ্ন করতেন। খেই হারিয়ে ফেললে তা ধরিয়ে দিতেন। এভাবে তাঁর অদম্য চেষ্টা ও উৎসাহে ফেলে আসা দিনগুলো একটা অবয়ব পায়। আমি অকুণ্ঠচিত্তে বলতে চাই ফাহমিদ-উর-রহমান এ বইয়ের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছেন। তার নিঃস্বার্থ সহযোগিতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা না থাকলে সম্ভবত এ বইটি আলোর মুখ দেখতে পারত না।

আমাদের এ কাজে একজন মাদ্রাসা পড়ুয়া তরুণ দারুণ উৎসাহ যুগিয়েছে, আন্তরিক সহযোগিতা করেছে। তার নাম মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন। ফেলে আসা দিনগুলো সম্পাদনার গুরু-দায়িত্ব পালন করেছেন কবি সাংবাদিক আহমদ আখতার। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তাঁর দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় এ বইয়ে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে।
আমার পরিবারের যারা আমাকে এ বই লেখার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে তাদের মধ্যে প্রথমেই নাম করতে হয় আমার স্ত্রী জাহানারা হোসেনের। আমার বড় মেয়ে লায়লা খায়রুন নাহার ও তার স্বামী খাজা মাঈনুদ্দীন, দ্বিতীয় মেয়ে মুনমুন শামসুন নাহার, তৃতীয় মেয়ে বিলকিস নাহার; ছেলে শওকত হোসেন এবং সুজায়েত হোসেনও নানাভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছে।

নওয়াব সলিমুল্লাহ একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ আব্দুল জব্বার আমাকে যথেষ্ট উৎসাহ যুগিয়েছেন। ফেলে আসা দিনগুলোর সাথে জড়িত সবাই আমার অতি আপনজন। এদের দু’জাহানের কল্যাণ কামনা করি।
(ফেলে আসা দিনগুলো মাসিক নতুন সফর পত্রিকায় ফেব্রুয়ারী ১৯৯৮ থেকে ডিসেম্বর ২০০২ সময়কালে প্রকাশিত হয়।)

ইব্রাহিম হোসেন
ঢাকা
১১ সেপ্টেম্বর ২০০৩

(বইটির pdf version download করুন এখানে)

  1. Thanks to Allah. I’m really proud to be a Muslim. I’ve lost word & don’t know how to admire the almighty Allah. May almighty Allah keep my father in peace and harmony.

  2. আসসালামু আলাইকুম শ্রদ্ধেয় লেখক, আপনার বইটি পড়ে ইতিহাসের যে বিষয় নিয়ে Confusion তৈরী হয়েছে তা পুরোপরি দূর হয়ে গেছে। তবে যে সত্য উপলদ্ধি করেছি, তা নতুন প্রজন্মকে জানানোর একটা তাগিদ অনুভব করছি। কিন্তু কিভাবে করব তা বুঝে উঠতে পারছিনা। তবে আওয়ামী লিগের রাজনীতি যে গোয়েবসলীয় তত্বের উপর প্রতিষ্টিত তা পানির মত পরিষ্কার। সেই তত্ত্বের মত করেই একটি সামাজিক আন্দোলন হওয়া দরকার। আপনি কেমন আছেন, কোথায় আছেন আপনাকে দেখতে ইচ্ছে করে, সরাসরি পা ছুয়ে সালাম দিতে ইচ্ছে। আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক। ধন্যবাদ মাজহার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>