অধ্যায় ২: সত্য যেভাবে মারা পড়েছে
(বইটির pdf version download করুন এখানে)
এ নিয়ে সন্দেহ নেই যে একাত্তরের লড়াইয়ে বিস্তর রক্তক্ষয় হয়েছে,কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাস রচনাকারিদের হাতে যেটি মারা গেছে সেটি হল সত্য ও ন্যায়বিচার। একাত্তরের লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছিল আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা। বিজয়ের পর তারা শধু দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনই দখলে নেয়নি,দখলে নিয়েছে ইতিহাস রচনার ন্যায় এ্যাকাডিমিক বিষয়ও। আওয়ামী শাসনামলে সরকারি অর্থে সরাকরি লোকদের লাগানো হয়েছিল ইতিহাস রচনার কাজে। ফলে যা রচনা হয়েছে তার অনেকটাই আর নিরেপক্ষ ইতিহাস থাকেনি। খুঁটিনাটি বিষয় দুরে থাক, তাদের পেশ করা প্রধান প্রধান তথ্যগুলো যে কতটা অসত্য সে প্রমাণ কি কম? লেখা হয়েছে,পাক-বাহিনী একাত্তরে তিরিশ লাখ বাঙ্গালীকে হত্যা করেছিল। হুশজ্ঞান ও বু্দ্ধিবিবেচনা আছে এমন ব্যক্তিকে দিয়ে এ তথ্য কি বিশ্বাস করানো যায়? তিরিশ লাখের অর্থ তিন মিলিয়ন। সে সময় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি অর্থাৎ ৭৫ মিলিয়ন। যে কোন স্কুল ছাত্রও হিসাব করে বের করতে পারে, তিরিশ লাখ মানুষের মৃত্যু হলে প্রতি ২৫ জনে মারা যেতে হয় একজনকে। যে গ্রামে ১ হাজার মানুষের বাস সে গ্রামে মারা যেতে হয় ৪০ জনকে। ঘটনাক্রমে সে গ্রামে কেউ মারা না গেলে পরবর্তী গ্রামটি যদি হয় ১ হাজার মানুষের তবে সেখান থেকে মারা যেতে হবে ৮০ জনকে। যে থানায় ১ লাখ মানুষের বাস সেখানে মারা যেতে হবে ৪ হাজার মানুষকে।
প্রতি থানায় ও প্রতি গ্রামে মৃত্যুর সংখ্যা এ হারে না হলে ৩০ লাখের সংখ্যা পূরণ হবে না। তাই এটি কি বিশ্বাসযোগ্য? সে সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাক-বাহিনীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০ হাজার। ৭০ হাজার পাকিস্তানী সৈন্যের পক্ষে কি সম্ভব ছিল বিল-হাওর, নদীনালা, দ্বীপ ও চরাভূমিতে পরিপূর্ণ একটি দেশের প্রায় ৭০ হাজার গ্রামে পৌছানো? গ্রাম দূরে থাক প্রতিটি ইঊনিয়নেও কি তারা যেতে পেরেছিল? প্রতিটি গ্রামে ও ইউনিয়নে গেলে সীমান্তে যুদ্ধ করলো কারা? কারা পাহারা দিল দেশের বিমান বন্দর, নদীবন্দর, সবগুলো জেলা-শহর ও রাজধানী? ৩০ লাখ মানুষের নিহত হওয়ার এ তথ্য বিশ্বের দরবারে গ্রহণযোগ্য করা দূরে থাক, বিশ্বাসযোগ্য করতে পারেনি তাদের পার্টনার ভারতীয়দের কাছেও । যুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় জেনারেলদের কাছে এটি এক হাস্যকর মিথ্যা। ভারতীয় পত্র-পত্রিকায় সে অভিমত একবার নয়, বহুবার প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু জেনেবুঝে মিথা রটনা করাকে যারা রাজনীতির মূল হাতিয়ার মনে করে তাদেরকে কি সত্য গেলানো যায়? অথচ ইসলামে অতি জঘন্য হল মিথ্যা। এ পাপ মহা অভিসম্পাত ডেকে আনে সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছেঃ
“তাদের উপর সেদিন (রোজ হাশরের বিচার দিনে)অভিসম্পাত যারা মিথ্যা বলে।–(সুরা মুতাফফিফিন, আয়াত ১০)।
আর যে ব্যক্তি নিজের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত ডেকে আনে তাকে আর কে রক্ষা করতে পারে? তার জন্য আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে কঠিন আযাবের ঘোষনা এসেছে এভাবেঃ
অতঃপর নিশ্চয়ই তাদেরকে জাহান্নামের আগুণে জ্বালানো হবে।-(সুরা মুতাফফিফিন, আয়াত ১৬)। পবিত্র কোরআনে একথাও একাধিক বার বলা হয়েছেঃ “ফাসিরু ফিল আরদি,ফানজির কাইফা কানা আকিবাতুল মোকাযিযিবীন”।
অর্থঃ “অতঃপর ভ্রমন কর জমিনের উপর এবং দেখ,মিথ্যুকদের পরিণতি কীরূপ হয়েছে”।
মানব ইতিহাসের অতি মিথ্যুক ছিল ফিরাউন, নমরুদ এবং আদ- ও সামুদ জাতি এবং নুহ (আঃ)-এর কাওমের লোকেরা। তারা মনগড়া মিথ্যা বলত। সে মিথ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করত এবং সত্যের বিজয়কে রুখত। তাদের সে মিথ্যাচারই দুনিয়াতে তাদের উপর কঠিন আযাব ডেকে এনেছিল । আর আখেরাতেও অপেক্ষা করছে কঠিন শাস্তি।
যুদ্ধবিগ্রহে কত জন মারা গেল সে পরিসংখ্যান কোন সরকারই হঠাৎ দিতে পারে না। বহু মাস এমনকি বহু বছর লাগে সে পরিসংখ্যান বের করতে। অথচ শেখ মুজিবের সে সময় লাগেনি। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি চোখের পলক পড়ার আগেই পাক-বাহিনীর হাতে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে-গঞ্জে ও নগর-বন্দরে কতজন মারা গেছে তার একটা হিসাব দিয়ে দিয়েছিলেন। মিথ্যা ভাষণে পরিসংখ্যান লাগে না,বছরের পর বছর মাঠঘাট ও গ্রামগঞ্জ খুঁজে তথ্যও সংগ্রহ করা লাগে না। বরং সেটি রচিত হয় মিথ্যুকের জ্বিহবাতে,খেয়াল খুশি মতো। নিখুত পরিসংখ্যানের গরজতো তাদেরই যারা সত্য বলায় অভ্যস্থ,সে সাথে মিথ্যা পরিহারেও সতর্ক। যারা স্বাধীনতার লক্ষ্যে রক্তদান যে কোন জাতির জন্য গর্বের। কিন্তু রক্তদানের নামে মিথ্যাচার হলে তাতে ইজ্জত বাড়ে না,বাড়ে অপমান। মুজিব সেটিই বাড়িয়েছেন। গর্ব বাড়ানোর তাগিদে শেখ মুজিব সেদিন তার স্বভাবসুলভ অভ্যাসটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। ফলে মুখে যা এসেছে তাই বলেছেন। সেটি যে বিশ্বাসযোগ্য নয় সেটিও তিনি বুঝে উঠতে পারেননি। সম্ভবতঃ তার বিশ্বাস ছিল, পাকবাহিনী এখন পরাজিত, দেশবাসিও তার অনুগত, ফলে তিরিশ লাখ বা ষাট লাখের কথা বললেও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সাহস ক’জনের? তখন কেউ প্রতিবাদ করেনি ঠিকই কিন্তু এতে তার চরিত্র যে নীরবে মারা গেল সে হুশ কি তার ছিল? ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তিনি চিহ্নিত হয়ে গেলেন মিথ্যুক রূপে। বহু হাজার বছর পরও প্রশ্ন উঠবে কারা, কবে, কিভাবে এবং কতদিনে এ গণনার কাজটি সমাধা করে? হাজার বছরের অসত্য চর্চার নায়কগণ ইতিহাসে এভাবেই বিবস্ত্র হয়। ইসলামের অতি জ্ঞানী হযরত আলী (রাঃ) “ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব তার জিহ্বাতে” বলে বস্তুতঃ সেটিই বুঝাতে চেয়েছেন।
মানুষ তার আসল রূপকে সবসময় লুকিয়ে রাখতে পারে না। দমকা ঝড়ো হাওয়ায় মুখের পর্দা যেমন সরে যায়,তেমনি কর্মের মধ্য দিয়ে ভন্ডের মুখোশও সরে যায়। মুজিবের সে মুখোশ সরে গেছে বার বার। প্রাকৃতিক দূর্যোগে বা যুদ্ধে নরনারী দূরে থাক গবাদী পশু মারা গেলেও সভ্য দেশে একটি শুমারি হয়, ক্ষয়ক্ষতিরও পরিমাপ হয়। অথচ একাত্তরের যুদ্ধে কতজন মানুষ মারা গেল সে পরিসংখ্যান তিনি নেননি। অসংখ্য মানুষ যেমন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে মারা গেছে,তেমনি মারা গেছে মুক্তি বাহিনীর হাতে। হাজার হাজার বিহারি যেমন মারা গেছে, তেমনি মারা গেছে হিন্দুও।লুটতরাজ ও দেশত্যাগের মুখে পড়েছে যেমন বহু লক্ষ হিন্দু,তেমনি লুটতরাজ ও নিজ ঘর থেকে বহিস্কারের মুখে পড়েছে বহু লক্ষ অবাঙালী। কোন দেশে যুদ্ধ শুরু হলে সে যুদ্ধ কোন পক্ষকেই ছাড়ে না।অথচ আওয়ামী বাকশালী পক্ষ শুধু নিজ পক্ষের ক্ষয়-ক্ষতিটাকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করেছে।অন্য পক্ষের ব্যথা-বেদনা ও ক্ষয়ক্ষতি সামান্যতম ধর্তব্যের মধ্যেও আনেনি।কোন পক্ষে কতজন মারা গেল এবং কাদের হাতে মারা গেল – জাতির জন্য সেটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পরিবারের প্রতি সদস্যই জানতে চায় তার আপনজন কিভাবে মারা গেল এবং কে হত্যাকারি। বাংলাদেশের ইতিহাসে মুজিব ও তার দলীয় নেতাদের প্রচন্ড গুণকীর্তন থাকলেও অতি প্রয়োজনীয় সে তথ্যটিই নেই। ফলে অজানাই রয়ে গেল সে তথ্যগুলো। জাতির তথ্যভান্ডার এক্ষেত্রে শূণ্য। অথচ এ তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব ছিল সরকারের। কোন দেশপ্রেমিক সরকার কি এতটা দায়িত্বহীন হতে পারে? কথা হল, জনবহুল দেশে গণনাকারিরও কি অভাব ছিল? বস্তুত যেটির অভাব ছিল সেটি মুজিব সরকারের সদিচ্ছার।
ইরাকের উপর হামলায় মার্কিন বাহিনী কতজন ইরাকীকে হত্যা করেছে সে হিসাব তারা নেয়নি। মশা-মাছি মারলে যেমন তার গণনা হয় না,তেমনি গণনা হয়নি নিহত ইরাকীদেরও। ইরাকীদের মার্কিনীরা যে কতটা তুচ্ছ ভাবতো এবং তাদের সাথে তাদের আচরণ যে কতটা বিবেকহীন ছিল এ হল তার প্রমাণ। প্রশ্ন্ হলো,এ ক্ষেত্রে মৃত বাংলাদেশীদের সাথে মুজিবের আচরণও কি ভিন্নতর ছিল? ফলে বাংলাদেশের মানুষের বড় দুঃখ শুধু এ নয় যে,যুদ্ধে তারা আপনজনদের হারিয়েছে। বরং বড় দুঃখ,তাদের মৃত আপনজনেরা সরকারের কাছে কোন গুরুত্বই পেল না। কোথায় কিভাবে এবং কাদের হাতে তারা মারা গেল সে হিসাবটিও হল না। কোন রেজিস্টারে বা নথিপত্রে তাদের কোন নাম নিশানাও থাকল না। গদীদখল ছাড়া আর সব কিছুই যে শেখ মুজিব ও তার দলের কাছে গুরুত্বহীন ছিল এটি হল তার প্রমাণ। বাংলাদেশের আওয়ামী স্যেকুলার পক্ষটি এতই বিবেকশূণ্য যে বিশ্ববাসী হাসলে কি হবে তারা তাদের নেতার উচ্চারিত মিথ্যাটিকে, কোন রূপ সত্যাসত্য বিচার না করেই অবিরাম আওড়িয়ে যাচ্ছে। পত্র-পত্রিকা ও বই-পুস্তকে সেটি উল্লেখও করছে। অথচ নবীজীর ভাষায় মিথ্যুক হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে সে অপরের শোনা কথা বিচার না করেই বলে বেড়াবে। বাংলাদেশে সে মিথ্যাচর্চাই ব্যাপক ভাবে হচ্ছে। শেখ মুজিব যেমন গণনা না করে মুখে যা এসেছে তাই জনসম্মুখে বলেছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ তার সে মিথ্যা কথাটি নানা জন থেকে শুনে বা কিতাবে পড়ে সত্যাসত্য বিচার না করে জনসম্মুখে রটনা করে বেড়াচ্ছে। বিবেকশুণ্যরা নেতা হলে জাতির অন্যান্যরাও যে কতটা বিবেকশূণ্য হয় এ হল তার নমুনা। ফেরাউন শূধু একাই তার রাজ্যে বিবেকশূণ্য ও মিথ্যাচারি ছিল না। সে বিবেকশূণ্য ও মিথ্যাচারি করেছিল মিশরবাসীকেও। তারাও তাকে খোদা মনে করত এবং ফিরাউনের সাথে বনি-ইসরাইলের লোকদের উৎসবভরে হত্যাকরত। হযরত মূসা (আঃ)ও তাঁর অনুসারিদের হত্যার জন্য সমুদ্র পর্যন্ত ধেয়ে গিয়েছিল। তাই বেঈমানকে হটানো এবং ঈমানদার ব্যক্তিকে নেতার আসনে বসানো এ জন্যই ইসলামে এতটা গুরুত্বপূর্ণ।
নবীজী (সাঃ)র মৃত্যুর পর সাহাবায়ে কেরাম তাঁর দাফন মুলতবী করে প্রথমে খলিফা নির্বাচনের কাজটি প্রথমে সমাধা করেছিলেন। নামাযে ইমাম নির্বাচনের চেয়ে একাজ গুরুত্বপূর্ণ। একাজ কখনও কোন রবীন্দ্র-ভক্ত, ইন্দিরাভক্ত ও কাফেরদের বিশ্বস্ত বন্ধুদের দিয়ে হয় না। তাকেঁ নিরেট ইসলামী হতে হয়। ইসলামে অঙ্গিকারহীন এমন নেতারা মুসলিম ভূমিতে আল্লাহতায়ালার রহমত এনেছেন সে নজির নেই।বরং তাদের কারনে ভয়াবহ আযাব নেমে আসে। যে আযাব কখনও আসে বন্যা ও জ্বলোচ্ছ্বাস রূপে, কখনও দুর্ভিক্ষ রূপে, আবার কখনও বা আসে জগতজোড়া অপমানের মধ্য দিয়ে। শেখ মুজিবের পক্ষ থেকে রটনা করা মিথ্যার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ আসা উচিত ছিল দেশের বুদ্ধিজীবী ও এ্যাকাডেমিকদের পক্ষ থেকে। কিন্তু তা হয়নি। বরং এসেছে আত্মসমর্পন। প্রতিবাদের সাহস নেই দেশের মেরুদন্ডহীন ও কান্ডজ্ঞানহীন বুদ্ধিজীবীদের। এদের কান্ডটি বরং আরো অদ্ভুদ ও হাস্যকর। মুষ্টিমেয় ব্যতিক্রম ছাড়া এরা বরং মুজিবের রটনা করা মিথ্যাকে প্রমাণ করতে কলম ধরেছে,সেটিকে জনমনে বদ্ধমূল করতে বই লিখেছে, এমনকি গবেষণাও নেমেছে। একাজে তারা মুজিবের ন্যায়ই কট্টোর। মুজিব বিরোধীদের শায়েস্তা করতে তারা আদালতের বাইরে মেঠো আদালত বসিয়েছে এবং বিরুদ্ধবাদীদের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে। তাদেরও মন-মগজ যে কতটা বিষপুর্ণ ও প্রতিহিংসাপূর্ণ সেটি আদালতের নামে আয়োজিত জনসভায় পাঠ করা রায়ে বেরিয়ে এসেছে। দেশের আদালতের প্রতি পল্লীর নিরক্ষর ব্যক্তির যে বিশ্বাস থাকে সেটিও তারা দেখাতে পারেনি। আদালত থাকতে এসব বুদ্ধিজীবীরা তাই নব্বইয়ের দশকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্দানে মেঠো আদালত বসিয়েছিল। এমন অদ্ভুদ ঘটনা কোন সভ্যদেশের ইতিহাসে আছে কি? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এককালে বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গরা তাদের বিদ্রোহী বা প্রতিবাদী নিগ্রো দাসদের বিরুদ্ধে ফাঁসীর আদেশ শুনানোর প্রয়োজনে এমন আদালত বসাতো। এমন আদালতকে বলা হত লিঞ্চ কোর্ট বা মেটো আদালত। এসব আদালতের কাজ হত তাদের পছন্দ মত রায় শুনিয়ে উৎসবভরে সেটি কার্যকর করা, বিচার করা নয়। সেটিই বাংলাদেশে সেকুলার বুদ্ধিজীবী রূপে যারা পরিচিত তাদের দ্বারা হয়েছে। আজ থেকে বহু শত বছর পর বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম যখন এসব বুদ্ধিজীবীদের কর্মকান্ডের ইতিহাস পড়বে, তারা শুধু অবাকই হবে না, লজ্জিতও হবে। এ ভেবে যে তাদের পূর্বপুরুষ বুদ্ধিজীবীগণ এতটাই বিবেকহীন, বিচারহীন ও প্রতিহিংসা পরায়ণ ছিল। বিস্ময়ের পাশাপাশি তাদের প্রতি অবজ্ঞা এবং অবিশ্বাসও জন্মাবে। চেতনায় যারা এতটাই বিষপূর্ণ ও প্রতিহিংসাপূর্ণ তাদের কি ইতিহাসের ঘটনাবলির নিরপেক্ষ মূল্যায়নের সামর্থ থাকে? ফলে তাদের লেখা ইতিহাসের বই যে তারা আবর্জনায় ফেলবে তা নিয়েও কি সন্দেহ আছে?
হাদীসের সত্যতা যাচাইয়ে সে হাদীসের বর্ণনাকারিকে জানতে হয়। বর্ণনাকারি অসত্য বা মিথ্যাভাষী প্রমাণিত হলে বিশ্বাসযোগ্যতা হারায় তার বর্ণীত হাদীস। অতীতে হাদীস সংগ্রহকারিগণ তাই বহুশ্রম, বহুঅর্থ ও বহু সময় ব্যয় করেছেন হাদীস বর্ণনাকারিদের চরিত্র বিচারে। তেমনি ইতিহাস রচনাকারির বেলায়। বাংলাদেশে তাই এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে ইতিহাস পাঠের আগে ইতিহাসের লেখকদের ইতিহাস জানার। ন্যায়নীতি ও বিবেকবোধ শত্রুর বিরুদ্ধেও মিথ্যা বলতে বাধা দেয়। সত্যবাদীতা মানুষের মৌলিক গুণ। এর অভাবে শুধু মনুষ্যত্বহানিই হয় না, ব্যক্তিত্বহানিও হয়। নবীজী (সাঃ) মিথ্যাচর্চাকে সকল পাপের জন্মদায়িনী মা বলেছেন। বুঝাতে চেয়েছেন, ব্যক্তির জীবনে মিথ্যাচর্চা শুরু হলে পাপের চর্চাও শুরু হয়। মিথ্যুকের জীবনে এ দুটো অপকর্ম এক সাথে চলে এবং মিথ্যা বন্ধ হলে পাপও বন্ধ হয়। পাপ অর্থই দূর্নীতি, এ দূর্নীতিতে সুনীতির পরিচর্যা বা প্রসার হয় না। বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দূর্নীতি পরিচর্যা পায় এই রাজনৈতিক দূর্নীতি থেকেই। ফলে যখন কোন দেশে দূর্নীতিবাজ শাসকের করায়ত্ব হয় সেখানে দূর্নীতি বাড়ে তীব্র গতিতে। দূর্নীতিতে বাংলাদেশ আজ যে সারা বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশের মধ্যে ৫ বার প্রথম হয়েছে সেটি একদিনে হয়নি। হয়েছে বহু কাল ব্যাপী রাজনীতি এ দূর্নীতিবাজদের হাতে থাকায়। এদের কারণে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি মহলে আর কোন কাজই দূর্নীতির মত এতটা ব্যাপক ভাবে হয়নি। আর এ মিথ্যা চর্চার আসল গুরু হল দেশের রাজনৈতিক নেতা ও বুদ্ধিজীবীরা। দেশকে আজও বিভক্ত রাখার মুল গুরুও তারা।
শেখ মুজিব বিশ টাকা মণ দরে চাল খাওয়ানোর নাম করে ৭০এর নির্বাচনে ভোট নিয়েছেন, কিন্তু ক্ষমতায় এসে ৫০০ টাকা মণ দরে খাইয়েছেন। ভোট নিয়েছেন গণতন্ত্রের কথা বলে, অথচ ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করেছেন। কায়েম করেছেন একদলীয় বাকশালী শাসন। বাকস্বাধীনতার কথা বলেছেন,কিন্তু সকল বিরোধী পত্র-পত্রিকাকে নিষিদ্ধ করেছেন। শেখ মুজিব আইনের শাসনের কথা বলেছেন অথচ বিনাবিচারে বামপন্থি নেতা সিরাজ সিকদারকে রক্ষিবাহিনী দিয়ে হত্যা করিয়ে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছেন, “কোথায় আজ সিরাজ সিকদার?” বাংলাদেশের ইতিহাসে এই হল সরকারি ভাবে প্রথম বিচার-বহিঃর্ভূত হত্যা-যার ঘোষণা দিলেন খোদ শেখ মুজিব। যদিও আওয়ামী-বাকশালী ক্যাডারদের হাতে মাঠেময়দানে হাজার হাজার হত্যাকান্ড ঘটেছে,তবে সেগুলো ঘটেছে বেসরকারিভাবে। শেখ মুজিবের শত শত মিথ্যা ওয়াদার রাজনীতির এ হল কয়েকটি নজির। অথচ রাজনীতি থেকেই নির্ধারিত হয় দেশের অন্যান্য নীতি। মিথ্যাচর্চার চেয়ে বড় দূর্নীতি আর কি হতে পারে? রাজনীতি তাই মিথ্যানির্ভর তথা দূর্নীতিনির্ভর হলে দেশে ও প্রশাসনে দূর্নীতির প্লাবন শুরু হবে সেটিই কি স্বাভাবিক নয়? এ জন্যই বহু দেশে কোন মন্ত্রী মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হলে সে শুধু মন্ত্রীত্বই হারায় না, আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সামর্থও হারায়। মুসলিম দেশে এমন ব্যক্তি সরকার প্রধান বা আমিরুল মোমিনুন হওয়া দূরের কথা সাধারণ সরকারি কর্মচারি হওয়ার যোগ্যতাও রাখে কি? অথচ বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে ব্যক্তিটি শত মিথ্যার জন্ম দিল তাকে জাতির পিতা করার উদ্যোগ হয়। কোন বিবেকবান জাতি কি সেটি মেনে নেয়? আদালত এমনকি নৃশংস খুনির বিরুদ্ধেও মিথ্যা বলার অধিকার দেয় না। কারণ আদালতে মিথ্যা বলা শুরু হলে মৃত্যূ ঘটে ন্যায়-বিচারের। ফলে অসম্ভব হয়ে পড়ে ন্যায়-বিচার-নির্ভর সভ্যতর সমাজ-নির্মাণ। আর ইতিহাস লেখার কাজ তো বিচারকের কাজ। বিচারক যেমন আদালতে বাদী-বিবাদীর উভয় পক্ষের কথা শোনেন তেমনি ইতিহাস লেখককেও দুই পক্ষের কথাই লিপিবদ্ধ করতে হয়। অথচ বাংলাদেশে সেটিই হয়নি। দেশে যারা ইসলামের পক্ষের শক্তি এবং যারা ১৯৭১য়ে বাংলাদেশের সৃষ্টির বিরোধীতা করল তাদের কোন কথাকেই ইতিহাসের বইয়ে স্থান দেওয়া হয়নি। এটা ঠিক, একাত্তরে তারা পরাজিত শক্তি। কিন্তু নির্ভরযোগ্য ইতিহাসে পরাজিতদেরও তো স্থান থাকে। নইলে সে ইতিহাস গ্রহণযোগ্য হয় কি করে? কারণ ইতিহাস তো কোন দলের নয়, কোন বিজিত পক্ষেরও নয়। এটি সর্বদলের ও সর্বজনের। নইলে সে ইতিহাস স্থান পায় আবর্জনার স্তুপে। যেমন ঘটে আদালতে মিথ্যা সাক্ষীর ভাগ্যে। বিপক্ষ পক্ষের লোকেরাও যে দেশপ্রেমিক নাগরিক, তাদের অভিমত এবং তাদের চিন্তাচেতনারও যে ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে সেটি তাদের রচিত ইতিহাসে স্বীকার করে নেওয়া হয়নি। বরং তাদের চিত্রিত করা হয়েছে ঘাতক ও গণদুষমন রূপে। অভিধান খুঁজে খুঁজে সবচেয়ে ঘৃণাপূর্ণ শব্দগুলো তাদের চরিত্রহানীর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। এভাবে জাতীয় জীবনে বিভক্তি ও রক্তঝরা ক্ষতগুলোকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে একাত্তরকে ঘিরে জাতি কার্যতঃ বিভক্ত হয়েছে দ্বি-জাতিতে। যেমনটি ছিল ১৯৪৭-পূর্ব ভারতে। এমন বিভক্তিতে একমাত্র শত্রুই খুশি হতে পারে। ফলে বাংলাদেশের এ অবস্থা দেখে ভারতের ন্যায় সুযোগ সন্ধানীদের এখন আনন্দে ডুগডুগি বাজানোর দিন। জাতির এ বিভক্ত অবস্থায় তাদের মদদপুষ্টরা তো শীঘ্র একটি রক্তাত্ব লড়াইয়েরও ডাক দিচ্ছে। ভাবছে এখনই তাদের মোক্ষম সময়। একাত্তরের প্রচন্ড রক্তক্ষয়ের পরও তারা যে তৃপ্ত হয়নি বরং আরো রক্ত চায়, এ হলো তার প্রমাণ। গণতন্ত্র উপহার দিতে না পারলে কি হবে, জাতীয় জীবনে এমন রক্তঝরা বিভক্তিই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অবদান। অথচ বিশ্বে অন্যদের ইতিহাস ভিন্নতর।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধে উভয় পক্ষে বহু হাজার মানুষ নিহতও হয়েছিল। অথচ যুদ্ধশেষে বিরোধীপক্ষেরও জেনারেলদের বীরের মর্যাদা দিয়ে বরণ করা হয়েছিল। তাদেরকে হত্যা বা কারারুদ্ধ করা হয়নি। যুদ্ধাপরাধিও বলা হয়নি। বরং তাদের ছবি শ্রদ্ধাভরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যাদুঘরে রাখা হয়েছে। আটলান্টা শহরের পাহাড়ের গায়ে তাদের ছবি খোদাই করে চিরভাস্বর করে রাখা হয়েছে। পারস্পারিক শ্রোদ্ধবোধই তো একটি জাতির জীবনে সংহতির জন্ম দেয়। বিপক্ষের বিরুদ্ধে ঘৃনা ছড়িয়ে জাতীয় জীবন শান্তিময় হয়। অথচ শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ সেটিই করেছে। এবং সেটি তাদের জন্যও কল্যাণকর হয়নি। ১৫ ই আগষ্টের জন্ম তো তারা এভাবেই দিয়েছে। জাতীয় জীবনে যখনই কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসে তখন প্রতিটি নাগরিকই একই রকম সিদ্ধান্ত নেয় না। কিন্তু সে কারণে কাউকে ঘাতক,দেশের শত্রু বা জনগণের শত্রু বলা যায় কি? ১৯৭১এ জনাব নুরুল আমীন,শাহ আজিজুর রহমান,খান আব্দুস সবুর,ফজলুল কাদের চৌধুরি,মৌলভী ফরিদ আহমেদের ন্যায় বহু নেতা এবং মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামি,নেজামে ইসলামি,জমিয়তে ইসলামি,কৃষক-শ্রমিক পার্টি,আব্দুল হকের পূর্ব পাকিস্তানের কম্যুনিষ্ট পাটির ন্যায় বহু দল এবং বহু নির্দলীয় আলেম-উলামা, ইমাম, কবি-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, আইনজীবী এবং সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তি তখন শেখ মুজিব ও তার দল থেকে ভিন্নতর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সে জন্য কি তাদেরকে ঘাতক বলা যায়? মুজিব বাহিনী যেমন অস্ত্র তুলে নিয়েছিল তাদেরও তখন পাকিস্তান বাঁচাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। পাকিস্তান ছিল তাদের নিজেদের দেশ, যেমনটি ছিল পাঞ্জাবী, সিন্ধি, পাঠান ও বেলুচদের। নিজেদের দেশ বাঁচাতে যে ব্যক্তি জীবন দিতে রাজি তাকে কি অন্যদের দালাল বলা যায়? অথচ বাংলাদেশের ইতিহাসে তাই বলা হয়েছে।
ইতিহাসের রচনাকারিগণ যে শুধু পক্ষপাতদুষ্ট তাই নয়, অতি প্রতিহিংসাপরায়ন ও কুরুচীপূর্ণ এটি হল তার নজির। অথচ ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর কায়দে আযমসহ মুসলিম লীগ নেতাদের মানবিক গুণটি চোখে পড়ার মত। সেদিন মনরঞ্জন ধরের মত কংগ্রেসের যেসব শত শত নেতা-কর্মী সর্বশক্তি দিয়ে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিরোধীতা করেছিল তাদের কাউকেই জেলে পাঠানো হয়নি। কাউকে দালাল বলা হয়নি। তাদের নাগরিগকত্বও হরন করা হয়নি। তাদের ঘরবাড়ী লুটতরাজ ও দখল করা হয়নি। বরং তারা সংসদে সম্মানের সাথে বসা এবং সে সাথে মন্ত্রি হওয়ার মর্যাদা পেয়েছিলেন। অথচ বাংলাদেশ সৃষ্টির বিরোধীতাকারিদের হয় নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে অথবা কারাবন্দী করা হয়েছে। জনাব মৌলবী ফরিদ আহম্মদের মত প্রখ্যাত রাজনৈতিক নেতাকে হত্যা করে গুম করা হয়েছে তার লাশকে। মুসলিম লীগ সভাপতি জনাব ফজলুল কাদের চৌধুরিকে প্রাণ দিতে হয়েছে ঢাকার কারাগারে। বহু নিরীহ আলেম, ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্র এবং হাজার হাজার রাজাকারদের হত্যা করা হয়েছে। তাদের ঘরবাড়ি লুট করা হয়েছে। অনেকের নাগিরগকত্ব হনন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা যে কতটা বিবেকশূণ্য ও মানবতাশূন্য,এসব হল তার দলীল। এগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসের অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। অথচ ইতিহাসের বইয়ে এসব ঘটনা কোন বিবরণই নেই। যারা মুক্তিবাহিনীর হাতে এভাবে প্রাণ দিল বাংলাদেশের ইতিহাসে ও সরকারি পরিসংখ্যানে কোথাও তাদের কোন উল্লেখ নাই। সম্ভবতঃ শেখ মুজিবের মধ্যে সেদিন যেটি প্রবল ভাবে কাজ করছিল তার নিজস্ব অযোগ্যতার ভীতি। যে ব্যক্তি সাঁতার জানে না সে সমূদ্রে নামতে ভয় পায়। সে খোঁজে হাঁটু পানির খাদ। শেখ মুজিবর যোগ্যতা ছিল না বাংলাদেশের মত একটি ছোট দেশ পরিচালনার। ক্ষমতায় আসীন হওয়া মাত্র সেটি প্রমাণও করেছেন। বাংলাদেশের হাজার হাজার বছরের সমগ্র ইতিহাসে যা ঘটেনি তিনি সেটিই দেশকে উপহার দিয়েছেন। সোনার বাংলাকে তিনি ভিক্ষার ঝুলিতে পরিণত করেছেন। অন্যরা না জানলেও তিনি জানতেন পাকিস্তানের মত বিভিন্ন ভাষাভাষি নিয়ে গঠিত সর্ব বৃহৎ এ মুসলিম রাষ্ট্রটির শাসনভার চালানো যোগ্যতা তার নাই। সেটিকে ভেঙে সেটিকে তার সামর্থের উপযোগী করা সম্ভবতঃ তার বড় উদ্দেশ্য ছিল। ক্ষুদ্র কীট যেমন ক্ষুদ্র খাদ্য কণাকে খুঁজে তেমনি দশা ক্ষুদ্রমাপের মানুষদেরও। গড়া নয়, ভাঙ্গাই তাদের অহংকারে পরিণত হয়। মুসলিম বিশ্ব আজ যে ভাবে বিভক্ত,শক্তিহীন ও ইজ্জতহীন তা তো এসব ছোট চেতনার ছোট ছোট ব্যক্তিদের জন্যই।
(বইটির pdf version download করুন এখানে)
Nahyan
Brother Firoz
I understand the burning u must feel being a muslim in this unjust society. but i am writing to u with a disgraced heart.
the war in 71 was not a war of religion. mayb for pakistan, mayb for india, but definitely not for us. u hurt people”s feelings when u say the independence movement as a suicidal attempt… those who r not Islam literate will easily attribute your personal view to Islam n push them farther away from the path of good. I think our misplaced imossion is the only key for the non-believers to think otherwise about islam. please do not empower the kafirs by relating wrong / controvertial issues with Islam; specially in a public space.
I havent read ur article yet…but im downloading it now. I ackknowledge people from our side has let us down in so many ways. but please.. please do not compare pakistan-rajakars” crimes with muktijoddhas” mistakes.. n specially do not attribute pakistan army as the soilders of islam..b cos they were not.
I would like to hear from you and definitely look forward to c a change in the content of ur site”s homepage.
i”ll soon b giving u a feedback on the article on “our” suicide.
Firoz Mahboob Kamal
Brother Nahyan, Thanks for your comment although I am yet to understand on what basis you”re commenting while you acknowledged that you haven”t read my article yet. Like a typical secularist, your main argument goes around the same point that I have mixed up religion with the war of so-called independence of 1971. Clearly, you haven”t gone through my main article. If one disconnects himself from Islam”s fundamental teachings then there are many reasons to celebrate the breakdown of Pakistan and the creation of Bangladesh. But the issue with a practicing Muslim is fully different. He cannot disconnect his politics, culture, economics and other aspects of life from Islam. This is why the Islamic forces took a different political decision from those of the secularists in 1971. In a period of only 23 years in Bangladesh politics, two major decisions were taken in 1947 and 1971. They were totally opposite to each other. Indeed, they represented two different notions. Both the decisions can not be correct, one must be wrong. The question is; which one was based on Islamic perspective and which one was on secular perspective? Even the political procedures were not equally same in both the cases. In 1947 people got opportunity to debate the issue of supporting or opposing Pakistan for more than a decade. Along with scores of intellectuals, the major parties like Muslim League and All India Congress were there to debate the issue in full length. In 1946, election was held on this single issue. But in 1971, not an election, not even in a single meeting was held to debate the issue. The decision of 1947 was well discussed and home-grown. But the war of 1971 was planned, financed, guided from Indian soil. It had a full political and military involvement of an enemy power. I have never argued that Pakistani army and Razakars were angels. I also do not buy the argument that they were all rapist and killers. Indeed the same Pakistani army lived in Dhaka, Chittagong, Comilla, Jessore and other cantonments for 23 years. How many Bengalis were raped and killed during those long years? Portraying the people who were against partition, as rapists or beast, is a vicious ploy to conceal the real ideology guiding the people against the 71 partition. Unfortunately, they were successful in deceiving the naive masses to turn a blind eye to their own crimes. Although, the post 71 era couldn’t have had done more to reveal their true corrupt nature that inevitably led to their own demise. No one can deny the killings of 1971 and I’ve already discussed that issue in my article so it’s not worth repeating here. I didn’t argue that Pakistan had no failings and the country was a haven. Indeed, it had many failings in those days. But the burden of such failures shouldn’t be thrust only on the shoulder of the West Pakistanis. Indeed the East Pakistanis were more responsible, since they were the majority. In those days of united Pakistan, they could’ve had played a constructive role in areas like politics, economy, army, education, science and technology. Alas! Instead of being proactive and taking intellectual leadership, they resorted to blame others for their own failures. Only such mentality can lead a country to become the global champion of corruption five years running. Instead of reflecting on their failures, the same people are still on the constant search for another bunch of scapegoats. This is another example of our continuous intellectual failure.
Nahyan
Brother Firoz, clearly you are too much frustrated and anguished over the break-down of Pakistan. i understand ur feelings cause i am equally hearten when you call my sovereignty a mistake. please note… its not an absolute sovereignty, but my sovernty. i guess u could rightly alledge me to be ignorant for commenting based on the topic sentence, without seeing the body, but i think u will understand when i say i react the same way when i see an article headlining: “islam, the fanatic religion”. i really dont need to go through the article before deciding against it. so far i’ve been through your article, u did not put up any new arguement that has not already been there. although as i sence ur tone of arguement, it does feel the same when the israelis say we dont understand why hamas is not puting off their weapons and coming to negotiation. u know, they too do not argue that they are a group of angles, but every thing can b resolved through discussion. i”ll tel you, the problem is only that when they talk to us they talk down to us. uve argued over and over acknowledging our majority…so how do you explain the struggle we had to go through to have bangla as our provincial language; not even a major national language. I share your enthusiasm to a common islamic state; the khilafat. but pakistan is not the answer to that. infact no current form of state is prepared to lead that khilafat. who do u suppose to have as a role model? the Saudi monarchs? who is swiming in an ocean of wealth and doing nothing else.. the Iran regim? who is a major contributing factor in arabs” shia-sunni struggle! lets not talk about iraq. the kuwait, the uae, qatar, each of them is a stepping stone for the us military in the arab land. is the us there to save these countries from israil or from their own brothers?
i dont claim these division and distrust is baseless or irrrational, but acknowledge the deep/complex historical context behind this present scenario. I dont believe it is possible for the leaders to re-unite unless people on the ground are united. now, tell me brother, what are you doing to re-unite people in bangladesh. why r u not studying the glories and breakdown of khilafat but looking at 71 as the point of breakdown?? why r u not acknowledging the pain and suffering the civilians have suffered in the 9 months of liberation war; whomevers fault the war might had been. why r u giving so much weight to numbers when it calls for capital punishment to kill even an un armed man at any point in time?did u know there was a fatwa in the time of war by a bd muslim scolar (??) that “rape is jayej in the time of war”. will you agree with me that a commonn pakistani major/general consumes as much alcohole as a us general? are you aware that the kafirs today are as united as the muslims are in conflict? if u agree so, why are you pulling an issue that is so much painful for so many people in bangladesh, when really uniting with pakistan is not the solution for a muslim state… i understand u can give as many failures of “east pakistan” as many as i can give about west. but u know what? the politics before and after the war do not pain me. what pains me is that when military came and shot one of our own, they didnt feel like kiling a human being. how many people do you think were eaten by dogs and birds lying dead on street. on top of that it was your patriotic bangladeshi muslim brother who led the patriotic army to the house-holds from which the youngest son has left to join the war. would you say the army then just questioned the members of the family and let them go with a warning. even if it was just one case when the daughter was raped before her father mother and brother before brush firing them all and never geting punished…how do you my brother, a pratitioning muslim dont shed teares for those poor soles but call them isolated incidents. do you really think the us army is now mistreating the iraqis more than the pakistani army has mistrited ur brothers and sisters? let it not b 30 million, let it b 30 thousand…let it b bcose our politicians took a dividant role. how do you call ur-self a practitioning muslim when u shut ur eyes to the oppressed and support the oppressors by stating it is the nature of war?? i really dont have to argue with you about the legitimacy of our independence war, but im doing it bcos i need u on our side first as muslim of bangladesh, then muslim of asia bfore becoming a muslim of 1 world. i humbly request you again brother, please do put down ur article about our liberation war and lets start to engage with the secular forces/ non-muslims in bd not on the basis of history, but on the basis of the present condition; which im sure u’ll agree both bangladesh and pakistan is failing miserably in.
Firoz Mahboob Kamal
Brother Nahyan, I think this conversation has now turned in to a time wasting one. I appreciate any comments opposed to my articles as long as they are logical and follow decency. However, it is frustrating if one spends time explaining something only to see that people going back to the same old gibberish repeatedly. Your assumption that I support Saudi, UAE, Kuwaiti model of monarchy as well as atrocities committed by then Pakistani armies goes to prove my point. You said that just seeing the title of my article was enough for you to form an opinion about me. Interesting analysis method!! You also said the title is as illogical as other articles against Islam. If someone wants to be so utterly complacent that they cannot comprehend that his nation can make wrong decisions, then it is their own opinion guided by their illogical brainwashed xenophobic ideology. I certainly believe in analyzing the historical facts and don’t believe in sweeping truths under the carpet just because it will embarrass my fellow citizens. I really don’t mind even if I am the only person as Islam doesn’t teach us follow the masses blindly. Regarding Bangla language, I already discussed in detail about the narrow doctrine of 1952. So I won’t mention it here. Again, just because you are the majority doesn’t give you the right to impose your narrow nationalistic desire on other minorities. That’s the difference between yours and my opinion about being majority. Same way Egyptians embraced Arabic, Punjabi and Sindhis embraced Urdu. All of those languages have far richer history then our Bangla but they compromised for greater welfare of the nation. Of course for majority of us Bengalis, such way of thinking is absurd. Even India have Hindi as their national language, whereas Hindi is not the language of majority. The perception of the common naive masses of BD is that Bangla language was going through the phase of obliteration during the Pakistani period. As if other ethnic languages of now Pakistan were destroyed to make way for Urdu. A common problem I’ve found arguing with an average supporter of 71 was that they always tend to concentrate on illogical trivial pursuit as if that’s the main topic of the argument. Unfortunately, I can’t see any difference in your logics either. You mentioned about the fatwas of so-called Ulamahs. It’s a pity that I’ve to waste my time writing about such trivial issue. But couldn’t let it go either. Don’t you know that history is littered with so-called clergy men’s who had done everything for narrow gain? That”s the same reason you find fatwas supporting ban on hijab or Awami offshoots like Awami Ulama league. But is that how you judge Islam? Remember that Allah bestowed us with basic intellect with which to judge whether those fatwas are according to Quran or Sunnah. Personally, I would say that’s another made-up story of a filthy Awami establishment same as the myth of 3 million. They often go as far as claiming their so-called freedom fighters would’ve succeeded anyway with or without India”s help which even annoy their Indian masters. It’s a pity that majority of BD people still happily go by the character certificates issued by them even after experiencing the moral deprivation of such people. When one is not confident about his own character, he often resorts to creating a myth to demonize the opponent. Regarding the so-called mass rapes and atrocities that apparently led to the creation of BD, so you think it is right to destroy the geography of a country just because one part of the population were unjust against other. Then I can see more partitions are on the way for our tiny country. There are already lots of injustices and inequalities between different parts of our country. Already in UK I see lots of Sylheties fuming due to the injustices against them while they are the major remittance earner of BD. Chakma’s have every right to create their own nation based on your logic. Mind you, that Chakma’s were ardent supporter of unified Pakistan, so don’t come up with another argument that Pakistan logic was only good for Muslims. Going by your logic, one need not complain against the harsh action of Bahrain gov to throw out all the Bangali expats for the crime of one or two Bangali rapist or murderer. Comparing Israel with then Pakistan is another of such argument that is based on sentiment rather than on any valid logic. I said before, that East Pakistan was not created by Pakistani invasion; rather we were the major proponent of that country in 1947. Many Bengalis became the top leader of the country. I repeat, if you only want to come up with these kind of absurd Israel, Anglo-US logic then I’ve no interest in entertaining such pathetic arguments anymore. Regarding the concern about establishing Islamic states, all I would say is, I find it amusing when I see Awami leaguers showing fake concerns about Islam and lecture on it’s jurisprudence. For them Islam seems to confine in occasional Umrah or hijab during election time, odd concerns about Palestinian or Iraqi peoples plight and attending janajas for their leaders. Ofcourse, for them the Islamic perspective against 71 is utterly distasteful. They simply don’t want to hear about the crime they’ve committed while breaking apart the biggest Islamic country of that time. I wasn’t arguing it was a perfect Islamic country. But by breaking it we lost the opportunity to transform it that way and becoming the beckon of hope to rest of the Muslim world. It’s irrelevant to talk about what kind of failed Islamic country current Pakistan is as it currently have no bearing on us. It’s a tough task to create one unified Islamic country. It’s good that you also dream about that but it certainly doesn’t help to transform that dream into reality if in the same time you support and feel joy about the breakage of any Muslim country for narrow nationalistic gain. To conclude, I would suggest you to read my article in full. If you are not convinced then fair enough, as I said already while replying to another reader that, I certainly don’t expect to convince everyone as it largely depends on which notion (Islamic or Secular) an individual is subscribed to. I also don’t want to debate with secularists forces of BD by restricting myself outside the periphery of controversial issues. I want to tackle those issues head on. Truth sometimes hurts but it is paramount to convey to those people. I personally find a confused Muslim a bigger threat then an ardent secularist, as they can do more damage by posing as one of your own. Wassalam.
Nahyan
u know… who is a better muslim n who is not… that has been the basis of division between muslims. it does state in the quran not to confront with controversial issues among muslims rather to engage in issues of common ground.
n talking of decency, u r living a secured life of freedom and social security in uk n passing on judgment on our problems when we are really struggling to unify in urgent issues bearing unwanted foreign intrutions from all over the globe. I am infact confused for what role to take as a muslim.. i am yet to figure out what the aayat “lakum dinukum wal ya deen” suggests about my role in todays complex society. I really strugle to face the secularist force in convincing them about the peaceful ways of islam when really a good number of muslims today has shut their heart and really is channeling their rage onto a way that only suits a person with no guidance. i really dont c how the young generation would come to concensus of common platform when people like you are engaging them in debate from the middle while the fundamental beauties of our religion is not widely available in the public sphere. i am also confused when u in a way attribute awamileague to be the flag bearer of bd. well may b thats bcos u r out of the country n recieve ur news from the media, but here in bd a number of secular and islamic parties has gained enough manpower to cause a deadly grihojuddho. n u r fueling the both sides at the same time. the tone of ur writing leaves no scope for a secular to try to deal with ur arguments. n brother, please remember even a secularist, a non believer is blessed with all the potential to recognize the truth by Allah. lets not undermine anybody, lets not decide on our own who is beyond help and who is not; let us do our best to come togather for causes that are present and urgent and may Allah reward us in ways that we deserve. i really dont know the objective of your article; what you wish to c in future by establishing our ”fault” in the ”division” of pakistan; but let me appraise u from the ground of ur concern; ur tone, ur timing and content is not helping those people to understand, who does not. i dont think u r going to put off ur article from the website; but neither did the danish editor appologise to us for his autrocity. its a free world afterall.
Firoz Mahboob Kamal
Dear Nahyan, I am not in the business of certifying who is a good Muslim or who is not. I made the analysis based on Islamic knowledge as best as I could gather. If anyone can come up with proper Islamic evidences against whatever I’ve written in my articles then they’re welcome to do so. However, your last writing has revealed some gross misconceptions about Islam. And it is of very epidemic proportion among Bangladeshis. You quoted a verse out of context to bolster your arguments. The verse “la kum deenukum wa liyadeen” of surah Kafirun was addressed to stubborn Kafirs. Its meaning: “for you is your religion and for us is our religion.” In this surah our beloved prophet Mohammad (pbuh) was asked to convey this declaration to Kafirs and Muslims were asked to stick to their own faith and to make no compromise with them. It is worth noting that this is the most abused verse by Shaikh Mujibur Rahman and his political cadres to tell the practicing Muslims to keep their faith confined in themselves and not to bring religion to politics. Such secularist view is totally against the very basic teachings of Islam. For Muslims, the Almighty Allah’s prescription is different. Allah, the most merciful has revealed, “Yeea aiyohallazeena aamanu udkhulu fis silm e kaaffa”. (Meaning: O! Those who believe, enter into Islam fully.) Unlike other religion, Islam is a complete and comprehensive roadmap of life for the whole mankind till the last day. To be a Muslim it is required that he or she should fully submit to this Quranic revelation. So Islam is not a type of religion that should be practised only in mosques, rather in politics, economy, culture, warfare and in all other arenas of life. Our prophet (pbuh) and the early Muslims are the ideal model of such Islamic practice. It is not an option rather an obligation on every Muslim to practise the same belief. Unfortunately, this is not happening in Bangladesh. And that owes to religious ignorance of the general public and the overwhelming intellectual corruption of their faith by the country’s highly deviant secularists. Secularism as a thought and political ideology out-rightly goes against this Quranic order, so it is haram in Islam. Muslim scholars may differ on many issues but they show consensus on this issue. But in your writing you brought this secular doctrine and were preaching that to me. I would request you to read my several articles on secularism in this website. You can also read my article ”Islamic Movement: Extremism or Expression of True Belief”. I would urge you to clear these misconceptions before engaging with secularists or nationalists, as they are not confused about where they stand. I would also suggest you to forgo your analysis method of judging a book by it’s cover. The same analysis method yielded nothing but confusion when you judged my article only by it’s title. Also don”t use that flawed method again to judge my level of knowledge about BD politics. People with confused state have no principal. The so-called biggest Islamic parties in BD are suffering with the same delusional state. They have lost the trust of dedicated Islamists and now taking banters from the secularist parties. There is no common ground between these nationalists and us. I am pleased that my arguments gave you that impression. Our arguments should be strong. The fact that you didn’t continue with your previous secular arguments says volume. You can take pride on the history of 1971 if you are secularist but bound to feel ashamed if you are Islamist. Although you have raised an important issue that my arguments seems uncompromising to people with other faiths and secularists. But then again you failed to notice that they were not my main target audiences. The article was geared towards confused Muslims where I wanted to argue that you cannot have it both ways. There is no point quoting Quran or Hadith while arguing with somebody who doesn’t believe in any of them. I fully appreciate that for those people the tactic should be different. However, for those who believe in rational and thoughtful understanding of history they may find this article worth considering. They’ll understand the underlying logic of those Islamists who were against the partition. In fact I came across many ardent secularists who respected that stance, as they understood that was a natural path for any true Islamists. It”s only the confused Muslims, who become illogical and resorts to misquoting Islamic teachings to argue their case persistently. These are the same masses you see queuing up to vote the same corrupt people again and again. Regarding your query about the reasons behind my writing on 71, I like to say it is crucially important. It is about science of history, which is more important than other branches of science. It teaches us to be wise and human. We all ought to analyze our past mistakes. Advances in science or technology may improve our quality of life but will not make us more human. Analyzing the past and learning from the mistake helps us improve as human being. Clearly, our generation lacks that understanding. That’s why after so many years you find them bragging about the crimes they’ve committed and demonising those who sacrificed their life for the right path. History lesson is also important to identify the Mir Zafars of our society and making sure, they don’t get away by masquerading as intellectual and historians. So, I feel hundreds of books should be written from Islamic perspective since we are Muslim. Unfortunately that has not happened. Most of the books are written by the enemies of Islam, the pro-Indian secularists. Therefore, how our people can get the true understanding of the history? If a Nazi intellectual writes history of World War Two what others will know about their crimes. So, if Awami anti-Islamists writes about 1971 then what a Muslim can know? They can only glorify their own crime and the crime of India. Because, they are paid for that. It is no strange that you are unhappy why I have published my article in the web page. This is the real problem with the secularist Awami Leaguers. They are truly fascist and opposed to all types of free expression. Not only in the political field but also in intellectual fields. They know quite well that except hooliganism, corruption and slang abuse they have nothing to offer. Their leader Sheikh Mujib banned all political parties and closed all opposition newspapers as soon as he assumed power. Though they are no longer in power, the behaviour still exists. You compared my writing with that of the Danish cartoonist. Have you lost your sense of proportion? Do you know what that cartoonist did? He is the proponent of the same secularism that you are so eager to use when arguing with me. While I was opposing it. Wassalam.
Imtiazur Rahman
If you guys fought for the sake of Pakistan then there’s no need to cry for 71, Pakistan is still there my friend. Start speaking Urdu & go settle in Lahore, have chapati-gost in lunch & die there. Leave us alone okay, we don’t want to be part of Pakistan. Amen.
Yusuf Mamun
Mr. Imtiaz your words are disgusting in between arguments. Shame on you.
Masud
AL wanted to make a clear list of freedom fighters in its last period and they found only 1.7 lac which included alive, dead and all types of freedom fighters. If all the freedom fighters are dead then its number never goes above 170,000. If 30 lac death is happened then the number of alive should be more. But when total number is 1.70 lac then it is clear even to a blind how much false and fabricated propaganda was spread through the Indian collaborator Mujib just to strengthen Indian sovereignty by dividing two Pakistan.